খুলনায় জাতীয় সমবায় দিবসে বক্তারা

# জেলায় সমবায় সমিতির সংখ্যা ২৩৯৩টি #
স্টাফ রিপোর্টারঃ জাতীয় ও সমবায় সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি, সমবায়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শনিবার খুলনায় ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। উপলক্ষ্যে দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খুলনা সমবায় বিভাগ ও জেলা সমবায় ইউনিয়ন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মোঃ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে সমবায়ী মোঃ হারুন অর রশিদ ও সুরাইয়া খান বক্তৃতা করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, আঞ্চলিক সমবায় ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাসুদা পারভীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জেলা সমবায় অফিসার সৈয়দ জসীম উদ্দিন স্বাগত বক্তৃতায় জানান, জেলায় বর্তমানে নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সংখ্যা প্রাথমিক ২৩৬৭টি ও কেন্দ্রীয় ২৬টি। সমিতির সদস্যসংখ্যা দুই লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩জন। এবছর সরকারি রাজস্ব, অডিট ফি আদায় ২৭ লাখ ৪০ হাজার ২১০ টাকা এবং সমবায় উন্নয়ন তহবিল আদায় ২০ লাখ ২৯ হাজার ৪৮০ টাকা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুনর্বাসিত সদস্যদের মধ্যে এপর্যন্ত দুই কোটি ৬৫ লাখ সাত হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। জেলার ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা উপজেলায় দুইটি দুগ্ধ সমবায় সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ৪৩৭জন সদস্যকে এক লাখ ২০ হাজার করে সুদবিহীন ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এপর্যন্ত সাত কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৩৫জন সদস্যকে ছয় কোটি ৯৮ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দিঘলিয়া ও পাইকগাছা উপজেলায় প্রাথমিকভাবে দুইশত জনকে দুই লাখ টাকা করে গাভী পালনের জন্য ঋণ দেওয়া হয়েছে। খুলনা জেলায় সমবায় সমিতিসমূহের মূলধনের পরিমাণ ১০৭ কোটি ৭৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, সঞ্চয়ের পরিমাণ ২৮১ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কার্যকারী মূলধনের পরিমান ৪৮৯ কোটি ১২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। জেলায় সমিতির মাধ্যমে ১১ হাজার ৯৩১ জন মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নয়টি শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি ও তিন সমবায়ীর মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এর আগে নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্র বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।