স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় লাগামহীন আলু-পেঁয়াজের দাম : বিপাকে সাধারণ মানুষ

কামাল মোস্তফা : নিয়ন্ত্রণহীন পাগলা ঘোড়ার মত আলু পেঁয়াজের দাম সামনে ছুঁটেই চলেছে। লাগাম ধরার যেন কেউ নেই। প্রতিদিনই কেজি প্রতি অন্তত ৭-৮ টাকা করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩৫-৪০ টাকা। আলুর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৫ টাকা। ক্রেতারা এই বাজার পরিস্থিকে অস্বাভাবিক বলছেন। নগরীর সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১০৮-১১০ টাকায়, খুচরা বাজারে ১২০-১২৫ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০-২২৫ টাকা বেশি। দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়, খুচরা বাজারে ১৫০-১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৩৫-৪০ টাকা বেশি। পাইকারি বাজারে আলুর দাম ৫৭-৫৮ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। সরকারি নির্দেশনা না মেনে ডিম আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সবজির দামও আগের মতই। দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পেঁয়াজের আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে কৃষকের কাছে দেশি পেঁয়াজের মজুত কম। অন্য বছরের তুলনায় অতি বৃষ্টির কারণে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ আসতে দেরি হচ্ছে, এ কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ বাজারে আসবে, তখন দাম কমতে থাকবে।
এই অবস্থায় দেশের বাজারে পেয়াজের সরবরাহ অনেকটাই আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। কিন্তু সেখানেও স্বস্তি নেই। সিন্ডিকেট নানা অযুহাত দেখিয়ে সেখানেও দিনের পর দিন দাম বাড়িয়ে চলেছে। খুচরা ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম বলেন, এক বস্তা করে আলু, পেঁয়াজ কিনলে কমপক্ষে ৩ কেজি পঁচা বের হয়। একটু বেশি দামে না বেঁচলে লাভ করবো কিভাবে। ময়লাপোতা সন্ধা বাজারে আসা বেসরকারি চাকুরীজীবি আনিসুল হক বলেন, এভাবে প্রতিদিন দাম বাড়তে থাকলে বাজারে যাওয়াই দুষ্কর হবে। সাধারণ মানুষের পক্ষে জীবন নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। গল্লামারী খুলনা বিশ^বিদ্যালয় রোডে কথা হয় অটোচালক মাছুম বিল্লাহর সাথে। তিনি বলেন, “সারা দিন অটো চালিয়ে ১০০০-১২০০ টাকা আয় করা খুব কঠিন। সেখান থেকে ৬০০ টাকা অটো ভাড়া বাবদ দিতে হয়। এখন বলেন বাকি টাকায় ৫ জনের সংসার এই দামে বাজার করে কিভাবে চলা সম্ভব বলেন”।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button