স্থানীয় সংবাদ

গোপালবিড়ি ফ্যাক্টরীতে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠান রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ গোপালবিড়ি ফ্যাক্টরীতে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠান রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল খুলনা প্রেস কা¬বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার গৌর পদ পাল।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি জানান, গত ৫ ই আগস্ট হইতে স্বনামধন্য গোপালবিড়ি ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিক নামে স্থানীয় সন্ত্রাসী যুবলীগ পরিচয়ে ফিরোজ শেখের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক বিভিন্নভাবে কোম্পানীর নামে বদনাম ও কর্মরত সাধারণ শ্রমিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এই স্বনামধন্য ফ্যাক্টরীতে কয়েক হাজার হিন্দু-মুসলিম নারী, পুরুষ শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে যাদের উপর তাদের পরিবার নির্ভরশীল। হিন্দু সম্প্রদায়ের মালিকের শিল্প প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সংখ্যালঘুতার সুযোগ নিয়ে ফিরোজ শেখের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্মরত মহিলা শ্রমিকদের নানা ধরনের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসেছে। এক পর্যায়ে উক্ত ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকরা মালিক কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে অবহিত করেন। ম্যানেজার অভিযুক্তদেরকে চাকুরী হইতে বহিষ্কার করলে, তখন তারা বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে গত ২০ অক্টোবর সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা ফিরোজ শেখসহ ১০/১২ জন শ্রমিক ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধার সৃষ্টি করে। তারপর আমরা স্থানীয় বিএনপি বটিয়াঘাটা উপজেলার সাবেক সভাপতি ও ৭নং আমিরপুর ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম খান (জনি) কে বিষয়টি জানাই এবং স্থানীয় থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ, ডিএসবি এবং বটিয়াঘাটা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জকেও জানাই। খবর শুনে সাবেক চেয়ারম্যান আন্দোলনরত শ্রমিকদের বলেন আপনারা কাজে যোগদান করেন মালিক খুব ভাল মানুষ মালিক অবশ্যই আপনাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেবেন। কিন্তু তারা হঠাৎ চেয়ারম্যানকে অপমান অপদস্থ করে। তারপর তারা চেয়ারম্যানের সাথে থাকা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সহসভাপতি তৌহিদুল ইসলামকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে এতে সে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম হয় এবং মিন্টু শেখের হাতে বাঁশের লাঠি দিয়ে বাড়ি দেয় যাতে তার হাত ভেঙ্গে যায়। দ্রুত আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর স্থানীয় প্রশাসনসহ সেনাবাহিনীর বটিয়াঘাটার ইনচার্জ, ডিবি, ডিএসবি ও শিল্প পুলিশ ও চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে জরুরী সভায় মালিক পক্ষ ফ্যাক্টরী বন্ধ করার কথা প্রস্তাব করেন কিন্তু সকল প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন ফ্যাক্টরী বন্ধ করা যাবে না, এ অবস্থায় ফ্যাক্টরী বন্ধ করলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। পক্ষান্তরে ফ্যাক্টরী বন্ধ করা হলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ আরো বলেন যতপ্রকার নিরাপত্তা লাগে আমরা দেব। এক পর্যায়ে প্রশাসনের নির্দেশে ফ্যাক্টরী চালু রাখা হয় ও সন্ত্রসী শ্রমিকদের তালিকা প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়ে যান এবং তাদেরকে কাজে না রাখার কথা বলেন। অতএব ৮/১০ জন সন্ত্রাসী শ্রমিকদের জন্য যাতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার না হয়ে পড়ে সে বিষয়ে সদয় দৃষ্টি রাখতে এবং উপরিউল্লিখিত সন্ত্রসীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনে আপনার মর্জি হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button