পিএমজি’র নিলাম টেন্ডারে সাধারণ ঠিকাদারদের শিডিউল জমায় বাঁধা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ পোস্ট মাস্টার জেনারেল খুলনা কার্যালয়ে নিলাম টেন্ডার শিডিউল জমাদানে সাধারণ ঠিকাদারদের বাঁধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার মধ্যে পিএমজি দক্ষিণাঞ্চল খুলনা কার্যালয়ের সভা কক্ষে শিডিউল জমাদানের নির্ধারিত স্থান ছিল। ১০৩টি শিডিউল বিক্রি হলেও শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত ৬টি শিডিউল জমা পড়ে মাত্র। সিন্ডিকেটের ফলে বাস, মাইক্রোবাস, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ ও মোটরসাইকেলসহ ৩৪টি মটরযান মাত্র সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় নিলাম বাগিয়ে নিয়েছে ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বিএনপি’র একটি পক্ষ শিডিউল জমাদানে বাঁধা দেন বলে অভিযোগ সাধারণ ঠিকাদারদের। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতারা। পিএমজি কার্যালয় সূত্র ও সাধারণ ঠিকাদারদের সূত্র জানিয়েছেন, গত ২৪ অক্টোবর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে নিলাম টেন্ডার আহবান করা হয়। ২৭ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১০৩টি শিডিউল বিক্রি হয়। গতকাল জমাদানের শেষমুহুর্ত পর্যন্ত মাত্র ৬টি শিডিউল জমা পড়ে। সকাল থেকেই পিএমজি খুলনা কার্যালয়ে একটি পক্ষের নেতৃত্বে তাদের পাঠানো লোকজনের কঠোর বেষ্টনির মাধ্যমে শিডিউল জমাদানে বাঁধা দেন বলে অভিযোগ সাধারণ ঠিকাদারদের। নিলামকৃত মটরযানের মধ্যে একটি বাস, একটি মাইক্রোবাস, পাঁচটনের একটি কার্ভার্ড ভ্যান, তিনটনের দু’টি কাভার্ড ভ্যান, দেড়টনের একটি কাভার্ড ভ্যান, দেড়টনের চারটি পিকআপ, দু’টি জীপ, ৮টি ত্রিচক্রযান, ১৪টি মোটরসাইকেলসহ সর্বমোট ৩৪টি মটরযান। অন্যদিকে, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত এ প্রক্রিয়া নিলাম টেন্ডারে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হল বলে অভিযোগ করে অবিলম্বে পুনরায় দরপত্র আহবান করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনঃদরপত্র আহবানের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ঠিকাদাররা। খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোঃ জহুরুল আলম বলেন, ‘শিডিউল জমা দিতে বাঁধা দেবার কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন ছিল। কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। টেন্ডার কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রয়োজনে অফিসে এসে খোঁজ-খবর নিতে পারেন।’