দেশে বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতা থাকলে, গণতন্ত্র থাকতো –পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ
খুলনায় তিনদিন ব্যাপি সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে
স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন, দেশে বস্তুুনিষ্ট সাংবাদিকতা থাকলে গণতন্ত্র টিকে থাকতো। কিন্তু গত ১৫ বছরে সেটা ছিল না। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা জেলার সাংবাদিকদের জন্য সংবাদ প্রতিবেদন ও বয়ান বিয়ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভা প্রধানের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে তিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল পিআইবি। ফারুক ওয়াসিফ বলেন, গত ১৫ বছর সাংবাদিকতা দেশ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। যার কারণে দেশের পরিস্থিতি আমরা জানতে পারেনি। যদি সঠিক সাংবাদিকতা থাকতো, জবাবদিহিতার জায়গা থাকতো, তাহলে দেশে গণতন্ত্র থাকতো। কিন্তু দেশের অন্যান্য স্তম্ভের মতো গণমাধ্যমকেও দলবাজ, দুর্নীতিবাজরা গ্রাস করেছিল। যারা ক্ষমতাধরদের সঙ্গে দেশের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিল। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৪ জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছিলেন। আর আগস্টের প্রথম ৪ দিনে ৫ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। গত ১৬ বছরে হত্যার শিকার হয়েছেন ৩০ সাংবাদিক, দেড় হাজার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, নির্যাতন চালনো হয়েছিল। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ, সমাজের চেহারা। সাংবাদিকদের দায়িত্ব বেশি। বস্তুুনিষ্ঠ সংবাদ দেশ, জাতি ও সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাহলে জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি হবে। তিনি তথ্য প্রযুক্তির পরিবর্তনের যুগে ঘন ঘন প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন। পিআইবির প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান ও খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল। বক্তব্য দেন মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান হিমালয়, প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন দৈনিক মানবজমিনের খুলনা ব্যুরো প্রধান রাশিদুল ইসলাম, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন, দৈনিক সংগ্রামের ব্যুরো প্রধান আব্দুর রাজ্জাক রানা, দৈনিক প্রবাহের চীফ রিপোর্টার মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, সিনিয়র রিপোর্টার খলিলুর রহমান সুমন, দৈনিক প্রবর্তনের নির্বাহী সম্পাদক কে এম জিযাউস সাদাত, দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান আহমদ মুসা রঞ্জু, দৈনিক সময়ের খবরের সিনিয়র রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম নূর, দৈনিক কালবেলার ব্যুরো প্রধান বশির হোসেন, ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি মোহাম্মদ মিলন, দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার কামাল হোসেন, জি এম রাসেল, খুলনা গেজেটের স্টাফ রিপোর্টার আয়শা আক্তার জ্যোতি, দৈনিক জনকণ্ঠের খুলনা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিনিধি একরামুল হক, খুলনা গেজেটের খুলনা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিনিধি তানভীর আহমেদ। খুলনা জেলার ৩৫ জন সাংবাদিক এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।