প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম খুলনা জেলা শাখার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম খুলনা জেলা শাখার প্রতিনিধি সভা আজ সকাল ১১টায় খুলনা নগরস্থ সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা কমিটির সংগঠক শিক্ষক নেতা প্রলয় মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব প্রাক্তন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোসায়েদ হোসেন ঢালী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক জনার্দন দত্ত নান্টু। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম খুলনা জেলা প্রতিনিধি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে তপন বিশ্বাস, কালিপদ দাস, অপূর্ব হালদার, গৌর বর্মণ, চঞ্চল ম-ল, কাজল ম-ল, মাহমুদা হোসেন, বাসদ নেতা কোহিনুর আক্তার কনা, আব্দুল করিম, প্রগতিশীল আইনজীবী ফ্রন্ট খুলনা জেলা সদস্য সনজিত মন্ডল প্রমুখ।
প্রতিনিধি সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষকতা সমাজের সবচেয়ে দায়িত্বশীল পেশা হলেও বাংলাদেশে শিক্ষকরা সবচেয়ে অবহেলিত অংশ। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা, নিরাপত্তা, বেতন কাঠামো কোনটাই মানবিক নয়। শিক্ষকরা তাঁদের ন্যায্য দাবি জানাতে গেলে পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার শিকার হতে হচ্ছে। এটা খুবই লজ্জাজনক। খবরে এসেছে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন সারা বিশ্বের বিচারেই সর্বনিম্ন। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন একজন গার্মেন্ট শ্রমিকের সমান। হাজার হাজার নন-এমপিও শিক্ষক বেতনহীন শ্রম দিয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত অনেক বেশি। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থায় যে অনিয়ম তার বড় শিকার হচ্ছেন শিক্ষকরা। নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের আলাদা বেতন কাঠামো, সর্বোচ্চ সামাজিক মর্যাদা, নিরাপত্তা, চাকুরি জাতীয়করণ করার দাবি জানান। একই সাথে তারা সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক একই পদ্ধতির বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈষম্যহীন সমাজের জন্য ’৭১, ’৯০ ও ’২৪ সালে এদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে সে সমাজ শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য বজায় রেখে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই দাবি আদায়ে সকল শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।