আব্দুল বাকীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুদকের চার্জশীট দাখিল
# যশোর প্রধান ডাক ঘর থেকে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাত #
মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর থেকে ঃ প্রধান ডাক ঘর হতে নগদ ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক পোষ্টমাষ্টার আব্দুল বাকীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করা হয়েছে। দুদক সমন্বয় জেলা কার্যালয় যশোর এর অভিযোগ পত্র নং ১৩,তারিখ ২২/১০/২৪ ইং ধারা দন্ড বিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা। দুদক,সজেকা,যশোর এর তদন্ত নং ৩/২০২৩ ১৯/২/২০২৩ ইং। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক,সজেকা যশোর এর সাবেক সহকারী পরিচালক বর্তমানে উপ-পরিচালক দুদক,জেলা কার্যালয় বাগেরহাট মোহাঃ মোশাররফ হোসেন ১ বছর ৮ মাস তদন্তর পর অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলায় চার্জশীট ভূক্ত আসামীরা হচ্ছে,যশোর শহরের পুরাতন কসবা (মানিকতলা) ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে প্রাক্তন পোষ্টমাস্টার (১ম শ্রেনী) (চঃ দাঃ) যশোর প্রধান ডাকঘর,বর্তমানে প্রশিক্ষন কর্মকর্তা (চঃ দাঃ) (সাময়িক বরখাস্ত) পোষ্টাল ট্রেনিং সেন্টার খুলনা আব্দুল বাকী। অপর আসামীরা হচ্ছে, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার খারহাট উত্তরপাড়া শিকদারবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার শিকদারের ছেলে যশোর প্রধান ডাক ঘরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক বর্তমানে খুলনা ডেপুটি পোষ্টমাস্টার জেনারেল কার্যালয় কর্মরত মোঃ আক্কাছ শিকদার ও যশোর নৈশ ডাকঘর যশোরের সাব পোষ্ট মাষ্টার যশোর সদর উপজেলার মোবারককাটি গ্রামের বর্তমানে নুতন ্উপশহর ব্লক এর বাসা নং ৬৪ এর মৃত শেখ আব্দুস সাত্তারের ছেলে শেখ করিমুল্লাহ। প্রধান আসামী আব্দুল বাকী জেলহাজতে আছেন। আক্কাছ শিকদার ও করিমুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা,হুলিয়া ও ক্রোকি পরোয়ানা ইস্যু করার আবেদন করা হলো বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।
অভিযোগ পত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, যশোর প্রধান ডাক ঘরের পোষ্টমাষ্টার গোলাম রহমান পাটওয়ারী বাদি হয়ে আব্দুল বাকী’র বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে যশোর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ এজাহার দায়ের করেন। অভিযোগটি দূর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভূক্ত হওয়ায় বাদি কর্তৃক দায়ের করা এজাহার কোতয়ালি থানার সাধারণ ডাইরী নং ৬৬৪,তারিখ ১১/০২/২০২৩ইং ধারা ৫৪ কাঃ বিঃ হিসেবে রেকর্ডভূক্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্মারক নং ১৬১,তারিখ ১২/০২/২০২৩ ইং মোতাবেক উপপরিচালক,দূর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বতি জেলা কার্যালয় যশোর বরাবর প্রেরণ করেন। উক্ত অভিযোগ নামা সংশ্লিষ্টে একটি মামলা রজুর অনুমতি প্রদানের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়,ঢাকা বরাবর প্রেরণ করা হলে কমিশন হতে মামলা দায়ের করার অনুমোদন জ্ঞাপন করা হয়। গোলাম রহমান পাটওয়ারী কর্তৃক কোতয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহার থেকে দেখা যায় আসামী আব্দুল বাকীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হলে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। তাকে বদলী করে তার বিরুদ্ধে বিগত ০৯/০২/২৩ইং তারিখে তার অতীত কার্যাবলী যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। যাচাইবাছাই কমিটি বিষয়টি যাচাই বাছায় করে দেখতে পান নাছরিণ পারভীন নামীয় ব্যক্তির হিসাব নং হতে ৩০/০১/২৩ইং ১৪লাখ ৫হাজার টাকা, আমিনুর রহমান এর হিসাব হতে গত ১৬/০২/২২ ইং ৬লাখ ৫০ হাজার টাকা, রুপালী নামীয় ব্যক্তির হিসাব হতে গত ২৩/০১/২৩ ইং তারিখে ১৩লাখ ৫০ হাজার টাকা, রহিমা খাতুন হিসাব হতে গত ২৯/১১/২২ ইং ৮লাখ টাকা, মোসাঃ আাসমা খাতুন নামীয় ব্যক্তির হিসাব হতে গত ৪/১০/২২ ইং তারিখে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এভাবে অনেক ব্যক্তির হিসাব বই তিনি সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে কখনও নিজে লেজার বই নিয়ে নিজ হাতে লিখে টাকা জমা ও পরে পর্যায়ক্রমে ১কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে। বিষয়টি তৎকালীন ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার মেহেরুন নেছাসহ প্রধান ডাক ঘরে কর্মরত কর্মকর্তা ও সদস্যদের কাছে ধরা পড়ে যায়। #