স্থানীয় সংবাদ

নগরীতে শীতের আগমনে ব্যস্ত লেপ-তোষকের কারিগররা

সাইফুল্লাহ তারেক ঃ খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সর্বত্রই গত কয়েক দিন থেকে একটু একটু করে শীত আসতে শুরু করেছে। শীতের আগমনে এলাকায় প্রত্যন্ত পল্লী থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা।এবার একটু আগে থেকেই শীত নামতে শুরু করেছে। আগাম শীতে লেপ-তোষকের ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি। খুলনার নগরীসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও দোকানে ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য লেপ-তোষক মজুদ করে রেখেছেন।অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শীত নামতে শুরু করেছে। আগাম শীতের কারনে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। লোকজন নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক সংগ্রহ করেছেন। লেপ-তোষক তৈরীর অগ্রিম বায়না নিচ্ছেন কারিগররা।টেইলার গুলোতে ও ভিড় করেছে। বিভিন্ন ধরনের শীত বস্ত্র তৈরীর পাশাপাশি কোট-প্যান্ট তৈরির চাহিদা ও বেড়ে গেছে।গত কয়েকদিন বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খুলনার বড় বাজার , রুপসা, হকার্স মার্কেট, দৌলতপুর, শিরোমনি ও ফুলবাড়ীগেট বাজার লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এ দিকে খোলা বাজারে লেপ-তোষক তৈরির তুলার দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
দৌলতপুর এলাকার লেপ-তোষক তৈরির কারিগর জানান, বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্ট তুলা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, শিমল তুলা ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, র্কাপাস তুলা ও শিশু তলা ১৭০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলায় এ বছর তুলার মুল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে ফুলতলা, দিঘলিয়া ও ডুমুরিয়ার গ্রামাঞ্চলের গৃহবধুরা শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পুরান কাঁথা, কম্বলগুলো জোড়া তালী দিয়ে মেরামত করেছেন। শিরোমনিতে একটি লেপ-বানাতে প্রকারভেদে ১২০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।ফুলবাড়ীগেট বাজারের নজরুল নামে এক ব্যক্তি জানান, গত বার ১০০০ টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল এবার সেটা ১২০০ টাকা খরচ পড়ছে।লেপ-তোষক প্রকারভেদে গত বছরের চেয়ে এবার ২০০/৩০০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে একটি লেপ বানাতে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button