স্থানীয় সংবাদ

কেশবপুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক

আব্দুল মোমিন, (কেশবপুর) প্রতিনিধি ঃ যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি ধারাবাহিক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হওয়ায় শিক্ষকসহ জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যার ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে উপজেলার ভালুকঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রীল ও তালা ভেঙ্গে ৩টি নতুন ফ্যানসহ ১২টি সিলিং ফ্যান, ১টি (পানির পাম্প) মোটর ও পর্দার কাপড় চুরি করে নিয়েছে। যার ফলে ওই বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক কালিদাস চক্রবর্ত্তী মঙ্গলবার সকালে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছেন। ভালুকঘর ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এর আগে ২০১৮ সালে ও ২০২১ সালে চুরির ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ৩ বার বিদ্যালয়ের সোলার, ব্যাটারী, মটর ও ফ্যানসহ মুল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেল। উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাগেছে, উপজেলায় ১৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৩৪টি বিদ্যালয়ে নৈশ্যপ্রহরী রয়েছে। বাকী ১২৪টি বিদ্যালয়ে কোন নৈশ্য প্রহরী নেই। যে কারণে রাতের বেলায় এসব বিদ্যালয়গুলো সম্পুর্ণভাবে অরক্ষিত থাকে। আর এই সুযোগে সঙ্গবদ্ধ চোর সিন্ডিকেট ধারবাহিভাবে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। উপজেলার ১৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬টি বিদ্যালয়ে চুরি ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে উপজেলার বেলকাটি, পাথরঘাটা, তেঘরি, নেহালপুর, রেজাকাটি, বাউশলা পুর্বপাড়া, মহাদেপুর, কাবিলপুর, সন্যাসগাছা (এন এন পি এস), আগরহাটি, আলতাপোল মধ্যপাড়া, ভোগতি নরেন্দ্রপুর, মানিকপোল, ফতেপুর, শ্রীরামপুর ও সর্বশেষ ভালুকঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব বলেন, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নৈশ্যপ্রহরী না থাকায় রাতের বেলায় সম্পুর্ণ অরক্ষিত থাকে। আর সেই সুযোগে গ্রীল ও তালা ভেঙ্গে মুল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। চুরি হওয়া স্ব-স্ব বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক থানায় সাধারণ ডাইরী করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান। এটা রক্ষায় যদি এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে এমন ঘটনা কমে যাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগের বিষয়টি জেলা প্রশাসনে হাতে। নিয়োগ সংক্রান্ত জেলা কমিটি রয়েছে, তারাই বলতে পারবে নিয়োগের পরিকল্পনা আছে কি না। তবে চুরি ঠেকাতে যেখানে নৈশ্যপ্রহরী নেই সেখানে ম্যানেজিং কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় দেখে রাখতে এবং থানায় কথা বলা হয়েছে রাতে টহল জোরদার করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button