দৌলতপুর মেট্টোপলিটন কৃষি অফিসের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার : ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনার কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার ( ১৪ নভেম্বর) দুপুরে দৌলতপুর এটিআই’র প্রাঙ্গণে কৃষক ও কৃষাণীদের নিয়ে আমন ধান ব্রি-৭৫ ও বারি সরিষা ১৪ মা দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন দৌলতপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম ফেরদাউস। প্রধান অতিথি ছিলেন দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট(এটিআই) অধ্যক্ষ কৃষিবিদ রিনা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মোঃ আব্দুস সামাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর মেট্রোপলিটন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রুবেল রানা, কৃষক তাপস ঢালীসহ সকল পর্যায়ের কৃষক কৃষাণীগণ ও এটিআই এর শিক্ষায়ত্রীগণ। মাঠ দিবস সঞ্চালনায় ছিলেন দৌলতপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার হিরণ্ময় কুন্ডু। বক্তারা এ সময় বলেন, আমরা দেশের খাদ্য সংকট এবং তেল সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমন মৌসুমে রোপা আমন কাটার ১০/১৫ দিন আগে বাড়তি ফসল হিসেবে বারি সরিষা ১৪ ধানের মধ্যে ছিটিয়ে দিলে ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে সরিষা কেটে তুলতে পারি। এরপরই আমরা বোরো ধান চাষ জমি তৈরি করতে পারি। তাই আমরা স্বল্প মেয়াদী ধান লাগিয়ে বাড়তি একটি ফসলের চেষ্টা করব। আমাদের পাশে বা বাড়ীর আঙ্গিনায় যে খালি জায়গা রয়েছে এ সকল জায়গায় আমরা ফেলে না রেখে পেঁপে গাছ,শাকসবজি ও বস্তায় জৈব সার মিশ্রিত মাটি ভরে চৈত্র বৈশাখ মাসে আদা চাষ করতে পারি। এতে নিজেদের চাহিদা মিটবে। ধান অথবা গাছে পোকামাকড় দমনে কি ধরনের সার,কীটনাশক প্রয়োজন হবে তার জন্য উপসহকারী কৃষি অফিসার বা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে সার বা ওষুধ প্রয়োগ করলে কৃষকের খরচ কম হয়। আর ওষুধ ডিলারদের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিলে তারা বিভিন্ন কোম্পানির মানহীন ওষুধ দিয়ে দেয় তাতে করে কৃষকের খরচ বেড়ে যায় । ওষুধ সার কীটনাশক ডিলাররা যেই মেডিসিনে বেশি লাভ পায় সেটি কৃষককে ধরিয়ে দেয়। তাই কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে সব সময় বীজ,ওষুধ,কীটনাশক ও সার ব্যবহার করবেন। এতে করে কৃষক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সহজ হবে।