স্থানীয় সংবাদ

নতুন প্রজন্মের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি জাগ্রত করতে হবে : খুবি উপাচার্য

# খুলনা পাবলিক কলেজের বার্ষিক বিজ্ঞান উৎসবের সমাপনী #

খবর বিজ্ঞপ্তিঃ খুলনা পাবলিক কলেজে বার্ষিক বিজ্ঞান উৎসব-২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে কলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, নতুন কিছু আবিস্কার বা তৈরি করার আনন্দ অন্যরকম। বিজ্ঞান মেলা ও বিজ্ঞান উৎসবের মতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সৃষ্টি করে। পাশাপাশি অনেক ধরনের জ্ঞান আহরণ করে। এ ধরনের উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি জাগ্রত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, লেখাপড়া হতে হবে ফলাফলভিত্তিক। সিলিবাসভিত্তিক লেখাপড়ার বাইরে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান, উপস্থাপনা ও নেতৃত্বদানে দক্ষ করে তোলা এবং তাদের মধ্যে চাপ সহ্য করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে নিয়মিত ক্রীড়া চর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শরীর ও মনকে বিকশিত করতে হবে। অধিকমাত্রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, পৃথিবী দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে না পারি, তাহলে উন্নত জাতিতে রূপান্তর হতে পারবো না। এজন্য প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার সাথে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার মেলবন্ধন থাকা জরুরি।
উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি বিকশিত করতে এ ধরনের উৎসব আয়োজনের জন্য খুলনা পাবলিক কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। পরে তিনি উৎসবের বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মোহাম্মদ শামীমুল আহসান শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ বেনিয়াজ জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের আইসিটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী এম এম সাইদুর রহমান। এ সময় সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং উৎসবে অংশ নেওয়া খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, এ উৎসবে খুলনা পাবলিক কলেজ থেকে ১ হাজার ৫ শত এবং খুলনা মহানগরীর ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৫ শত অর্থাৎ মোট ৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এতে ১৭টি ইভেন্টে ১৫০টিরও অধিক বৈজ্ঞানিক প্রজেক্ট উপস্থাপন করা হয়।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button