মানবতার মুক্তি ও একটি কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# জামায়াতে ইসলামীর খুলনা বার শাখার সহযোগী কর্মশালা #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, দেশের মানুষ ইসলামকে ভালবাসে ও ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করে। এখন প্রয়োজন ইসলামী চেতনা ধারণ করা এবং এর কল্যাণমুখী কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরা। সবার মাঝে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অনুভূতি জাগ্রত করা। মানবতার মুক্তি ও একটি কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় মানুষকে শোষণ করা ছাড়া আর দেয়ার মতো কিছু নেই। আদর্শহীনতা, নৈতিক অবক্ষয়, বস্তুবাদী জীবন দর্শন ও পরিবার প্রথার ভগ্নদশা সমাজকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এ অবস্থায় ইসলামই আগামী দিনের সম্ভাবনা, মুক্তিকামী মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বার শাখার সহযোগীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী খুলনা বার শাখার সভাপতি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম পান্নার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এডভোকেট আওছাফুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী সেক্রেটারি সিনিয়র আইনজীবী শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট লস্কর শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন, আইনজীবী সমিতির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিনিয়র আইনজীবী আবুল খায়ের, এডভোকেট সরদার আব্দুল জলিল।
অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএল কলেজের ভিপি ও আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, এডভোকেট খান মো. লিয়াকত আলী, এডভোকেট আব্দুল মান্নান, এডভোকেট সুজায়েত হোসেন সুজা, এডভোকেট মঈনুল ইসলাম জীবন, এডভোকেট আলীনুর রহমান, এডভোকেট লুৎফার রহমান, এডভোকেট মহিতুর রহমান কচি, এডভোকেট জি. এম মহেব্বুর রহমান, এডভোকেট শামিমুল ইসলাম, এডভোকেট জি এম আবু মুসা, এডভোকেট কামাল হোসেন, এডভোকেট জামাল উদ্দিন শেখ, এডভোকেট হাসিবুর রহমান, এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, এডভোকেট শহিদুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুর রহমান রুবেল মিনা, এডভোকেট হুসাইন কবির, এডভোকেট নাজমুল হক আকুঞ্জি, এডভোকেট শামসুল হক, এডভোকেট আওছাফুর রহমান লিটন, এডভোকেট আব্দুল লতিফ শেখ, এডভোকেট ইমামুল ইসলাম, এডভোকেট রেজওয়ান খান, আবুল হাসান, রুহুল আমিন, বোরহান, মোর্শেদ আলম, মিলন, খায়রুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথি আরও বলেন, দেশে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী, নেতৃত্ব ও সংগঠনের উপর চলমান জুলুম-নির্যাতনের মধ্যে ইসলামী শক্তির যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ইউনিট প্রধানদেরকে তা কাজে লাগাতে হবে। ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ, লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, ইউনিট প্রধানগণ সংগঠনের চালিকা শক্তি। ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাদের কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে হবে। জনসেবামূলক তৎপরতা বৃদ্ধি করে গণমুখী সংগঠন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ঈমানের ভিত্তিতে নির্ধারিত ও শীষাঢালা প্রাচীরের মতোই মজবুত। ভ্রাতৃত্ববোধকে ধারণ করে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আমাদের সকল তৎপরতা পরিচালনা করতে হবে।