যশোরে পরিবহন হেলপারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

# চালক ও সুপারভাইজার পুলিশ হেফাজতে #
যশোর ব্যুরো ঃ যশোরে বাপ্পি (২৬) নামে নামে এক পরিবহন শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর শনিবার সকালে যশোর শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মনির উদ্দিন তেল পাম্পর সামনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার শংকারপাশা গ্রামে। তার বাবার নাম ইদ্রিস সরদার। তিনি সরদার ট্রাভেলস মায়ের দোয়া পরিবহন (ঢাকা মেট্রো গ-১৪-৯৭৯৮) পরিবহনের হেলপার ছিলেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পরিবহনের ড্রাইভার নড়াইলের মল্লিকপুরের এনামুল হোসেন ও সুপার ভাইজার যশোরের রুপদিয়ার উজ্জলকে জিজ্ঞাসা করার জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন। হত্যাকান্ডের ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশের ক সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, র্যাব, পিবিআইসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবহন ম্যানেজার যশোরের বিরামপুরের আমিনুল ইসলাম জানায়,শুক্রবার ১৫ নভেম্বর বিকেল ৩টায় ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে যশোর আসে। ১৬ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাবার কথা ছিলো। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ড্রাইভার ও সুপার ভাইজার পরিবহনের কাছে আসেন। এসে দেখেন পরিবহনের দরজা বন্ধ। দরজা নীচ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ পরিবহন থেকে হেলপার বাপ্পির লাশ উদ্ধার করেন।
তিনি আরো জানান, পুলিশ ড্রাইভার ও সুপারভাইজারকে নিয়ে গেছে। পরিবহনটি জব্দ করেছে।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪/৫টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা কি কারণে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সেই সাথে হত্যাকারীদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। মামলা করার জন্য নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনরা যশোর কোতয়ালি থানায় অবস্থান করছেন। পুলিশ সরদার ট্রাভেলস বাস হেফাজতে নিয়েছেন।