যশোরে বাস হেলপার বাপ্পি সরদার হত্যা চাকুসহ আটক যুবকের আদালতে জবানবন্দি

যশোর ব্যুরো ঃ বাসের হেলপার বাপ্পি সরদার (২৩) হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী রানা সরদার (২১)কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার হুগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আরিফুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে ডিবি কোতয়ালি থানা পুলিশ শনিবার ১৬ নভেম্বর বিকাল ৫ টার পর যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগা মোড়ে রব ফিলিং ষ্টেশন থেকে হেলপার রানা সরদারকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করা হয়। যশোর শহরের লোহাপট্টি পতিতা পল্লীতে সাদিয়া আক্তার পপি নামে এক মেয়েকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
জানাগেছে, গত ১৬ নভেম্বর শনিবার সকাল ৯ টায় যশোর মনিহার মনির উদ্দিন ফিলিং ষ্টেশনের সামনে রাস্তার উপর সরদার ট্রাভেলস নামক (ঢাকা মেট্টো ব-১৫-৯৭৯৮) বাসের হেলপার বাপ্পি সরদারকে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ফেলে রাখে। বাপ্পির লাশ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহত বাপ্পি সরদারের পিতা ইদ্রিস আলী বাদি হয়ে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় রানা সরদারকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। রানা সরদার গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, যশোর শহরের লোহাপট্টি পতিতা পল্লীর যৌন কর্মী সাদিয়া আক্তার পপির সাথে রানা সরদারের প্রেম সম্পর্ক হয় এবং বিয়ে করতে চায়। পরে বাপ্পির সাথে রানা পরিচয় করে দেয় এবং মোবাইলে কথা বলে। এক পর্যায়ে বাপ্পি মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথে কথা বলতে থাকে। দু’জনের নাম্বার ব্যস্ত পেয়ে রানার সন্দেহ হয় এবং হত্যার পরিকল্পনা করে ১৬ নভেম্বর গভীর রাতে বাসের জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত বাপ্পিকে চাকু দিয়ে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ষ্টেপ করে হত্যা নিশ্চিত করে চলে যায়। রানা সরদার গ্রেফতার পর রোববার ১৭ নভেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছেন।