ঢাকা থেকে প্রতারণা করে নিয়ে আসা গাড়ী বিক্রির সময় ২ প্রতারক আটক

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা উত্তরা হতে প্রতারোণা করে নিয়ে আসা একটি এক্সিও-১২ মডেলের ঢাকা মেট্রো-গ-৩২৫৬৬৩ গাড়ী বিক্রি সময়ে হাতেনাতে আটক হয়েছে দুই প্রতারক। আটককৃত মোঃ কুব্বাতের বাড়ী খালিশপুরে নয়াবাটি ও অন্যজন হানিফ মুন্সির বাড়ী তেরখাদায়। গতকাল দুপুরে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের চত্বর হতে দুই চোরকে আটক করে খালিশপুর থানা পুলিশ। প্রতারণার শিকার গাড়ীটির মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি নিজেই একজন গাড়ী চালক এই গাড়ী থেকেই আমার একমাত্র উপার্জনের ব্যবস্থা হয়। আমি হঠাৎ দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পাই চিকিৎসক আমাকে বিশ্রাম নিতে বলে। তবে গেল পহেলা জুলাই প্রতারক মো. কুব্বাত নিজেকে সাজ্জাদ নামে পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে গাড়ী মাসিক ৩০ হাজার টাকা ভাড়ায় চুক্তি করে। আমি তার ঠিকানা সব কিছু যাচাই বাচাই করে গাড়ীর চাবিটি তাকে দেই। প্রথম মাসে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া পরিশোধ করলেও আগস্ট থেকে তার ফোন বন্ধ এমনকি পরিকল্পনা মাফিক তার পরিবারে সকলকে নিয়ে সে পালিয়ে যায়। আমি তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হই। আমার অবস্থা মরার উপর খাড়ার ঘা। আমি উপায় না পেয়ে উত্তরা থানায় একটি জিডি করি। এই মধ্যে একজন ব্যাক্তি আমার ফোনে ফোন করে বলে আপনার গাড়ীটি দশ লাখ টাকা বিক্রি করবেন। আমি শুনে অবাক আমি গাড়ী পাচ্ছিনা আর গাড়ী বিক্রি করব কিভাবে। তখন ফোনে কথা বলা ব্যক্তি বলেন, আপনার গাড়ীটি বিক্রির কথা হয়েছে খালিশপুরে কুব্বাত নামে একজনের সাথে। আমি কাগজ ঠিক আছে কিনা এজন্য বিআরটিএ অফিসে যাচাই বাচাই করতে এসে আপনার নাম্বার পেয়েছি। আমি তখন তাকে সব ঘটনা খুলে বলতেই তিনি আমাকে সাহায্য করার কথা বলেন। এক পর্যায়ে গাড়ীটি নিয়ে গতকাল দুপুরে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে আসলেই। উপস্থিত জনতা আটক করে স্থানীয় খালিশপুর থানা পুলিশকে অবগত করে । পরবর্তিতে খালিশপুর থানা পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে খালিশপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে প্রতারোণা করে নিয়ে আসা গাড়ী বিক্রির সময়ে গাড়ীর মালিক ও স্থানীয়রা দুই চোরকে আটক করে। পরবর্তিতে খালিশপুর থানার টহল পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। তবে যেহেতু গাড়ীর মালিক আলমগীর হোসেন ঢাকার উত্তরা থানায় বিষয়টি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। ঢাকা থেকে পুলিশ আসছে আমরা প্রতারকদেরকে হেফাজতে দিব।