ত্রি চক্রের সমন্বয়ে ধ্বংস হয় খালিশপুর প্লাটিনাম জুট মিল

# পৈত্রিক নিবাসের মত মিলের সম্পদ ভোগ দখল করে #
# ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে মরিয়া তিন কর্মকর্তা পেলেন পদোন্নতি #
খলিলুর রহমান সুমনঃ বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রিত খালিশপুর প্লাটিনাম জুট মিলস যেন আ’লীগের নিরাপদ আশ্রয় স্থল ছিল। মহিলা লীগ ও শ্রমিকলীগের বড় পদ ব্যবহার করে কেউ অনিয়মভাবে বছর পর বছর অফিসার্স কোয়াটারে থাকছেন, আবার কেউ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হওয়ার সুবাধে টিসিবি পন্যের স্টোর রুম বানিয়েছেন আবার কেউ শ্রমিকলীগ হওয়ার সুবাধে করেছে গরুর খামার। প্লাটিনামের প্রকল্প প্রধান মুরাদ হোসেন তিনি বিগত দিনে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে প্রচার করে এসব আ’লীগ নেতা কর্মীদের আবাস ভূমি করেছে প্লাটিনাম মিল অভ্যন্তরে। রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে তিনি সুবিধা নিতেন। এই ত্রিচক্র পুরো মিলটিকে পৈত্রিক সম্পক্তি মত ইচ্ছামত ভোগ দখল করেছেন। এখনও করছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে মরিয়া এসব কর্মকর্তারা হঠাৎ পেলেন পদোন্নতি। যার কারণে অনেকে হয়েছে অবাক। সেলিম হোসেন জাতীয় শ্রমিকলীগের নেতা। তিনি মিল বন্ধের পর শ্রমিক কলোনী ফাঁকা হওয়ার পর তার কপাল খোলে। তিনি শ্রমিক কলোনীর ক্লাব ঘরে গড়ে তোলেন গরুর খামার। গরুর খামারের রাখাল রবিউল ইসলাম জানান, গত দেড় বছর ধরে এখানে গরুর খামার করা হয়েছে। ১৩টি গরু ছিল। তবে তা বিক্রি করে দিয়ে এখন ৯টি গরু খামারে আছে। একটি সূত্র জানায়, প্রতিটি গুরু গড়ে ৭০ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি শ্রমিকলীগের প্যাডে কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা আমুর হোসেন আমুর অনুমোদন করিয়ে আনেন। এতে করে মিলের প্রকল্প প্রধান তাকে কলোনীর ক্লাব ব্যবহারের মৌখিত অনুমতি দেন। তবে সেলিম আকন বলেন, এ গরুগুলো আমার ছোট ভাইয়ের। তিনি বিদেশে থাকেন। মিল অফিসার্স কোয়াটারে বছরের পর বছর ধরে আছেন শ্রমিকলীগ নেত্রী ও ১১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সদস্য শাহানা শারমীন। তিনি নিরাপদ বেস্টুনির ভিতর থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন বানচাল করতে মিছিল-মিটিং আর তালিকা করেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের রুখতে আ’লীগের মারমুখী সকল কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন তিনি। তিনি গত সংসদ নির্বাচনে খুলনা ৩নং আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেনের প্লাটিনাম মিল এলাকার নির্বাচনী কমিটির আহবায়ক ছিলেন। তিনি ১১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি করেন। কিন্তু জাকির হোসেনের নিকট হেরে যান। সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ছিলেন তার প্রাণের ফুপু। ফুপুর নাম ব্যবহার করেও তিনি মিলে রামরাজত্ব কায়েম করেন। আ’লীগের আমলে সরকারি চাকুরি করে শাহানা দলীয় প্রতিটি মিছিল মিটিং-এর সামনের সারিতে থাকতেন। বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে তার ছিল জোরালো বক্তব্য আর শ্লোগান। তিনি খুলনা মহানগর মহিলা আ’লীগের নেত্রী। মিল বন্ধের পর শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে বেকার শ্রমিকদের কিছু নগদ টাকা সহায়তা করার উদ্যোগ গ্রহন করে। এ সময় শাহানা আর হুমায়ুন মিলে শ্রমিকদের নাম অর্ন্তভুক্তিকরনের কথা বলে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। শাহানা-হুমায়ুন লুটপাটের জুটি খালিশপুর এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। সেই নেত্রী এ সরকারের আমলে পেয়েছেন পদোন্নতি। এমন কি ৩, ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে খালিশপুরে আ’লীগের বের হওয়ায় লাঠি মিছিলে তার নেতৃত্ব ছিল চোখে পড়ার মত। তরিকুল ইসলাম নামের আরেক কর্মচারি। তিনি খালিশপুর থানা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক। তিনিও পদোন্নতি পেয়েছেন। অথচ এই তরিকুল বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের পেটানোর জন্য প্লাটিনাম মিলের গাছের ডাল কেটে প্রস্তুত করেন। ডাল কাটারত অবস্থায় কর্মচারিরা বলেন, তরিকুল ভাই আগে দু’ ট্রাক ভর্তি ডাল খুলনায় পাঠিয়েছে। আরো এক ট্রাক ভরার জন্য ডাল কাটছি। আ’লীগের আমলে সরকারি চাকুরি করে তরিকুল দলীয় প্রতিটি মিছিল মিটিং-এর সামনের সারিতে থাকতেন। বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে তার ছিল জোরালো শ্লোগান। তিনি ৫ আগস্টের পর আতœগোপনে গেলেও কর্তৃপক্ষ তাকে অনুপস্থিত দেখায়নি। এই গণদুষমনকারীরা এখন পদোন্নতি পাচ্ছেন। মিলের প্রকল্প প্রধান নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে আ’লীগের সিন্ডিকেটের সাথে মিলে মিশে মিলটি ধ্বংস করেছেন। এ চক্রের কারণে তার শাস্তি পাওয়ার কথা ছিল। অথচ এখন তিনি পদোন্নতি পেলেন। স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাহিদুর রহমান মফিজ টিসিবির কার্টন আর বস্তার রেখে গোডাউনে পরিণত করেছেন। প্লাটিনাম ব্যাচেলর স্টাফ কোয়াটারের ৫টি রুম দখল করে তিনি এ গোডাউন করেছেন। দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে কোন অনুমতি ছাড়াই অবৈক্ষমতা বলে তিনি এখানে গোডাউন করেন। যা এখনও রয়েছে। নিজেও একটি রুম দখল করে থাকতেন। মিলের নিরাপত্তা বিভাগের সহায়তায় মিল বন্ধের পর মিলের মূল্যবান মালামাল চুরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অনেকটা দেখে না দেখার ভান করছে। বিদ্যুৎ পোল কেটে প্রকাশ্যে চোরেরা নিয়ে যায়। আর নিরাপত্তা প্রহরীরা তা দর্শকের মত দেখে বলে এলাকাবাসী জানান। তবে নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও প্লাটিনাম মিলের সাবেক শ্রমিক নেতা আবুল কালাম জিয়া বলেন, মিল বন্ধ হওয়ার পর আরে মিল চত্বরে যাইনি। এসব ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে একটি সূত্র জানায়, চক্রটি প্রকল্প প্রধানকে জিম্মি করে এসব অবৈধ কাজ করেছে। ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিগত দিনে মিলের জিএম নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন। এই পরিচয় দিয়ে তিনি অনেক অনিয়ম করেছেন। তার মিল অভ্যন্তরে আ’লীগ নেতা-কর্মীরা ৩-৫ আগস্ট বৈঠক করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। তিনি এ আ’লীগের আশ্রয় ও অর্থযোগানদাতা ছিলেন। অথচ এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সরকারের আমলে তার পদোন্নতি হয় কিভাবে। তিনি বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে মহা ব্যবস্থাপক হয়েছেন। তিনি বর্তমানে একই সাথে আ’লীগের সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকা শাহানা শারমীন একযুগের বেশী সাধারণ কর্মচারি হয়ে অফিসার্স কোয়াটারে থাকছেন আর এখন পেলেন পদোন্নতি। আরেক আ’লীগ নেতা তরিকুল ইসলাম ৩-৫ আগস্ট পর্যন্ত মিলের সকল গাছের ডাল কেটে পরিস্কার করে ফেলেছেন। ওই ডাল দিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের হামলা করা হয়েছে। সেই গণদুষমনকারী তরিকুলও পদোন্নতি পেলেন। তিনি সেলিম আকনের সাথে যৌথভাবে প্লাটিনাম কলোনীতে গরুর খামার করেছেন। মিল বন্ধ হলেও তিনি স্ব পরিবারে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্টাফ কোয়াটারে রয়েছেন। তিনি হচ্ছে খালিশপুর থানা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক। এ গণদুষমনদের নিয়ে তাহলে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট কি বলছে। বিজেএমসির চেয়ারম্যান তাদের পদোন্নতির সুপারিশ কিভাবে করলেন। তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। না কি বিজেএমসি এখনও আ’লীগের ভূত চেপে আছে। বিষয়টি বিজেএমসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দেখার জোর দাবি জানাচ্ছি। আরিফ নামের আরেক বিএনপি নেতা বলেন, প্লাটিনাম মিলের স্টাফ কোয়াটারের প্রবেশকালে এক ছাত্রলীগ নেতা টিসিবির গোডাউন করে রেখেছেন। গত ৪/৫ বছর ধরে তিনি বিনা ভাড়ায় এখানে ৬-৭টি রুম দখল করে রেখেছেন। এই দখলের জন্য ওই ছাত্রলীগ নেতার কোন অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। ক্ষমতার বলে তিনি এখানে টিসিবির কার্টুন ও বস্তা রাখেন বলে তিনি জানান। প্লাটিনাম মিলের প্রকল্প প্রধান মুরাদ হোসেন জানান, তিনি জীবনে কখনও রাজনীতি করেনি। ছাত্রলীগ থাক দুরের কথা। তিনি বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মফিজকে কার্টুন ও বস্তা রাখতে দিয়েছেন। একইভাবে সেলিম আকন গরুর ফার্ম করেছেন অনেকটা জোর করে। আর শাহানা এখন তো কর্মকর্তা। বিগত দিনে কর্মচারি ছিলেন। সম্প্রতি তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। এখন তিনি সহকারি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হয়েছেন। দীর্ঘ দিন কর্মচারি হয়ে কর্মকর্তাদের কোয়াটারে থাকলেও ভাড়া সঠিকভাবে আদায় করেছেন। তিনিও অফিসকে জানিয়েছেন শাহানা আর তরিকুলকে অন্যত্র বদলী করে নেয়ার জন্য। তারই জন্য বিজেএমসি তাদের বদলী করেছেন চট্রাগ্রাম জুট মিলে। এমক কি তিনি শাহানা আর তরিকুলের ক্ষমতার অপব্যবহারের ব্যাখা দেন নানাভাবে। তিনি বলেন, এদের দু’জনকে কতবার যে বদলী করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বিশেষ মহলের কারণে তা পারিনি। এমন কি তরিকুলকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বদলী করা হয়। শুক্রবার অফিস খুলে তার বদলী বাতিল করতে বাধ্য করা হয় তাকে। সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পাটকল কর্মচারী শাহানা শারমীনের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করতে আমার প্রাতিষ্ঠানিক বা আইনগত কোন বাধা ছিল না। তাছাড়া দেশে ১৭/১৮ কোটি লোক তখন আওয়ামী রাজনীতির সাথে ছিল। আমি করলে আপত্তি কোথায়? আর আমার প্রতিষ্ঠান শায়িত্বশাসিত বিধায় রাজনীতি করাতে বাধা নেই। আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শেই আমি রাজনীতি করেছি। যেহেতু আমি সিবিএ করেছি,এখন পদোন্নতি হয়েছে । তিনি আরো বলেন, আমি ২২ বছর এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছি। প্রতিষ্ঠান আমাকে প্রয়োজনে রেখেছে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ও তাদের প্রয়োজনে রাখতেই পারে। তিনি বলেন, বদলির ক্ষেত্রে আমার কোন প্রভাব ছিল না। তিনি আরো বলেন, একজন কর্মচারী যদি একজন কর্মকর্তার সমান বেতন প্রাপ্ত হন সেক্ষেত্রে তিনি অফিসার্স কোয়ার্টার সুবিধা পাবেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে তার প্রতিরোধের অভিযোগের বিষয়ে বলেন এখানে আমার কোন ভুমিকা ছিল না। অভিযুক্ত কর্মচারী তরিকুল ইসলাম বলেন,”কর্মচারী হলেও আমার রাজনীতি করার অধিকার আছে। আমি খালিশপুর থানা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। আর অধিকার আদায়ে রাজনীতি করতে কোন নিষেধ নেই। কোয়ার্টারে থাকায় সেখানে গরুর খামার করার বিষয়ে বলেন, আমি এগুলি করিনি কে বা কারা করেছে তাও জানি না। গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতা আন্দোলন দমন করার লক্ষ্যে প্লাটিনাম জুট মিলের বিভিন্ন গাছ কেটে লাঠি হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমার বয়স ৬০ বছর। আমি গাছে চড়তে পারি না। তাই আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। শাহানা-হুমায়ুন জুটির হুমায়ুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। টিআইবি সনাক খুলনার সভাপতি এড. কুদরত ই খুদা বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে এসব কর্মচারিরা বদলী না হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বছরের পর বছর একই জায়গা রয়েছে। সরকারি মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারি হয়ে কোনভাবেই সরাসরি রাজনীতি করতে পারবে না। মিছিল মিটিং থাক দুরের কথা। যারা করেছে এর জন্য তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে মরিয়া ছিল তাদের পদোন্নতি পাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এসব বিষয় এখন কথা বলার সময় এসেছে। এসব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই নাগরিক নেতা। এ ব্যাপারে বিজেএমসির সদস্য বদলী হওয়া চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এনাম চৌধুরী মোবাইল রিসিভ করেননি। দৌলতপুর জুট মিলের প্রকল্প প্রধান তানজিলা বলেন, পদোন্নতি দেয়ার ব্যাপারে বিজেএমসির কমিটি আছে। তাদের সুপারিশেই পদোন্নতি হয়েছে। এখানে মিলের প্রকল্প প্রধানদের কোন ভূমিকা নেই বলে তিনি দাবি করেন। তবে যেসব অনিয়মের অভিযোগ শুনছি সে ব্যাপারে তদন্ত করে এদের পদোন্নতি দিলে আর কোন বিতর্ক থাকতো না বলে তিনি মনে করেন।