স্থানীয় সংবাদ

কুয়েটে সকল দলীয় নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টারঃ বিগত সরকারের আমলে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ‘র সকল অবৈধ ও দলীয় নিয়োগ বাতিল, নিয়োগ বৈষম্যের স্বীকার ও বঞ্চিতদের নিয়োগ এবং কুয়েটকে অবিলম্বে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।সোমবার দুপুর ১২ টায় কুয়েট প্রধান ফটকের সামনে স্থানীয় এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। যোগীপোল ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ও খান জাহানআলী থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মীর কায়ছেদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন মুন্সী আঃ রব, রফিকুল ইসলাম শুকুর, মো. হাদীউজ্জামান, মোল্যা সোলায়মান, মো. ইমতিয়াজ, যোগীপোল ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মো. নাজমুল হুদা পলাশ, মো. বাবুল শেখ, নাসির উদ্দিন মন্টু, মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ, মো. জাহিদুল ইসলাম, এনামুল হোসেন, মো. জামাল উদ্দিন, পাশা চৌধুরী, মো. আবুল খায়ের, মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, জসিম মুন্সী, মো. জামাল, বাপ্পি, এনামুল হোসেন, ছাত্রনেতা ইমতিয়াজ কায়সের প্রমুখ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে তারা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছিল। ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।সভাপতির বক্তৃতায় মীর কায়ছেদ আলী বলেন, ভিসি মিহির রঞ্জন হালদার ২০২৪ সালে দুইটি নিয়োগ দিয়েছেন। এ সকল নিয়োগে তিনি ছাত্রলীগকে একটা ভাগ, মন্ত্রীকে একটা ভাগ, স্থানীয় এমপিকে একটা ভাগ দিয়েছেন। এই ভাগাভাগির মাধ্যমে কুয়েটে কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা কারো কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা, কারো কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা, কারো কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা বাণিজ্য করেছে। আর এই নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা অযোগ্য লোকদের কুয়েটে চাকরি দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ড. আলমগীর হোসেন ভিসি হয়ে আসলেন। তিনি সাবেক ভিসি ড.আলমগীর হোসেনসহ কুয়েটের ১০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তার নাম উচ্চারণ করে বলেন এদেরকে যদি কুয়েট থেকে বের করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব। এদিকে বেলা ১১ টায় কুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে বাধা প্রদানকারী এবং বিগত সময়ে সাধারণ ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত এবং সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সাথে যুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত এবং ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button