স্থানীয় সংবাদ

নারীর প্রায় ১০লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের ২ প্রতারক গ্রেফতার

মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর থেকে ঃ সিআইডি পুলিশের হাতে দুই প্রতারক গ্রেফতার হয়েছে। এক নারীর কাছ থেকে ৯লাখ ৮৭ হাজার ৫শ’ টাকা কৌশল নিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার পর প্রতারণা করে আত্মসাতের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার রমনীর বাড়ি,ফটিকা,কামালপাড়া,৪নং ওয়ার্ডের হাটহাজারী পৌরসভার বাসিন্দা ঝুন্টু দে’র ছেলে অভি দে ওরফে রুবেল ও একই এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের আদর্শপাড়া ওরফে আদর্শ গ্রামের নুর নবীর ছেলে মনির হোসেন। রোববার ১৭ নভেম্বর রাত পৌনে ৯ টায় যশোর সিআইডি’র এসআই দেলোয়ার হোসাইনসহ একদল পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি এবং স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় অভি দে কে হাটহাজারী থানা এলাকার আরিফ হসপিটাল এর পিছনে সা হেদ এর ভাড়াকরা গুদাম ঘরের মধ্যে থেকে এবং মনির হোসেনকে একই এলাকার সাহেদ এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাকিজা ট্রেডিং থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা মাগুরা জেলার শালিখা থানার পিয়ারপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোড ফাতেমা গার্ডেন আকাশ আহমেদ এর বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত আব্দুল লতিফের মেয়ে ইসরাত ইয়াসমিনের কাছ থেকে গত ৯ আগষ্ট থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে উক্ত টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। গত জানুয়ারী মাসে আসামীর সাথে অনলাইন প্লাটফরম ফেসবুকের মাধ্যমে ইসরাত ইয়াসমিনের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে আসামীদের সাথে বাদির মেসেঞ্জারসহ ওয়াটআপ,ইম্যুতে এবং মাঝে মাঝে মোবাইলে কথাবার্ত হন। দীর্ঘদিন কথাবার্তা কারনে তাদের সাথে বাদির বন্ধুত্ব পূর্ন সম্পর্ক হয়ে যায়। এক পর্যায় বাদি অভি দের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের পর আসামী বাদিকে দুবাই নিয়ে যাবে। সেখানে ভাল বেতনে চাকুরী দিবে এবং তারা একত্রে বসবাস করবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয়। বাদি আসামীর বিয়ের প্রলোভনে পড়ে তার কথা মতো চলতে থাকে। বাদির পাসপোর্ট ভিসা ও অন্যান্য কার্যক্রম করার জন্য বিভিন্ন সময় আসামীর টাকার প্রয়োজন হলে বাদির নিকট টাকা চাইলে বাদি আসামীকে সরল বিশ^াসে তার ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বার হতে গত ৯ আগষ্ট রাতে আসামীর দেয়ার বিকাশ নাম্বারে ১হাজার টাকা প্রদান করে। এরপর থেকে আসামী বিভিন্ন সময় কৌশল নিয়ে বাদির নিকট হতে বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে টাকা নিয়ে উক্ত পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর আসামী বাদির সাথে মনোমানিল্য সৃষ্টি করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বাদি আসামীর বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালি থানায় প্রতারনা উল্লেখপূর্বক অর্থ আত্মসাতের মামলা করে। উক্ত মামলা আদালতের বিজ্ঞ বিচারক যশোর সিআইডিকে তদন্ত করার আদেশ দেন। সিআইডি পুলিশের এসআই দেলোয়ার হোসাইনসহ একটি টিম আসামীদের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদেরকে ১৮ নভেম্বর সোমবার যশোর আদালতে সোপর্দ করলে তারা আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবান দেয় বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button