স্থানীয় সংবাদ

নগরীতে আটক ছাত্রলীগ নেতা ফারুকের সেই অস্ত্র গেলো কোথায়?

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর খালিশপুর মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ও বর্তমান যুবলীগ নেতা মো. ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ফারুক নগরীর খালিশপুর থানার চরেরহাট এলাকার বাসিন্দা মৃত শেখ সুলতান আহমেদ এর পুত্র। সোমবার ( ১৮ নভেম্বর) সকালে কেএমপির ডিবি ওসি তৈমুরের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে নগরীর ফারাজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ফারুকের বিরুদ্ধে নগরীর খালিশপুর থানায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফারুকের লাইসেন্সকৃত ২টি অস্ত্র রয়েছে। সেই অস্ত্রগুলো যথাসময়ে জমা দিয়েছে কিনা তা খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তার দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ও ১৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসএম খুরশিদ আহম্মেদ টোনা এবং মোরশেদ আহম্মেদ মনিরের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। তারা কোথায় আছে সে ব্যাপারেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে ডিবি পুলিশের হাতে ফারুক আটক হওয়ার পর ফারুকের হাতে অস্ত্র থাকা একটি ছবি এ প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌছায়ছে। এর হাতে থাকা অত্যাধনিক অস্ত্র একটি টেবিলে প্রদর্শনী করতে দেখা যায়। ওই অস্ত্রটি একে-৫৬। আমেরিকান অস্ত্র। ওই ছবি তে তার চার পাশে ৬-৭ জন রয়েছে। সেই অস্ত্র অনুসন্ধানের জন্য ফারুককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে গোয়েন্দার সূত্রে জানা যায়। কিন্তু ওই অস্ত্র কোথায় পেল, কার মাধ্যমে এসেছে বা ওই ছবির সাথে আর কে কে আছে সেটা শনাক্তের জন্য গোয়েন্দার একটি টিম ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি এফআইআর মামলার সন্ধান পেয়েছে ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে খুলনার দিঘলিয়া থানায় একটি, নড়াইল নাড়িগাতি থানায় একটি, খুলনার ফুলতলা থানায় একটি, কেএমপির খালিশপুর থানায় দুটি এবং খুলনা থানায় একটি রয়েছে।
এ ব্যাপারে কেএমপি ডিবির ওসি মো: তৈমুর ইসলাম জানান, ফারুকের অস্ত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে। কে কে এসব অস্ত্র কে না বেচার সাথে জড়িত এসব জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারুককে রিমান্ড চাওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button