সরকারি রাস্তার জমি দখল করে অবৈধ ভাবে প্রাচীর নির্মাণ : ১২ পরিবার গৃহবন্দী
# অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), দিঘলিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিকট আবেদন #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সরকারি রাস্তার জমি দখল করে অবৈধভাবে প্রাচীর নির্মাণের (দেয়াল) অভিযোগ। আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী ফকির পাড়া এলাকার সরকারি রাস্তার জমিতে প্রাচীর নির্মাণের ফলে এলাকার ১২ পরিবার প্রায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। চলাচলে মারাতœক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী রাস্তার উপরে অবৈধভাবে নির্মাণ করা প্রাচীর (দেয়াল) অপসারনের ও এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে এলাকার ভুক্তভোগী পরিবারগণের পক্ষ থেকে সোহেল রানা ও মোঃ তালেব ফকির বাদী হয়ে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), দিঘলিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নিকট আবেদন করেছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজী মোহাম্মাদ মহসিনের দানের রাস্তার জমি সৈয়দপুর ট্রাস্ট নামে যেটি রয়েছে যেটি ম্যাপ এবং খতিয়ানে রাস্তা উল্লেখ করা রয়েছে। খুলনার জেলা প্রশাসক এটি রক্ষণাবেক্ষণ করেন। পূর্বে এ জায়গায় ১টি বিশাল আকৃতির বটগাছ ছিল যার পাশ দিয়ে এ এলাকার মানুষ যাতায়াত করতো। আলমগীর কবির ১৩৭০ দাগের জায়গা ক্রয় করে বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। তার পাশেই সৈয়দপুর ট্রাস্টের সরকারী রাস্তার জমির উপরে অবৈধভাবে দেওয়াল নির্মাণ করে ১২টি পরিবারকে গৃহবন্দী করে রেখেছেন। এই পরিবারগুলো বংশ পরমপরায় তিন চার পুরুষ এখানেই বসবাস করছেন। তিনি ইতিপূর্বে যৌথ বাহিনী সদস্যদের ডেকে গ্রামের নিরীহ ব্যক্তিদেরকে ভীতি প্রদান করেছেন। যার কারনে এলাকাবাসী আতংকে রয়েছেন। কিছু বলতে ভয় পায়। খুলনার এল এ শাখা সুত্রে জানা যায়, আলমগীর কবির নামে ১/২ নং খতিয়ানের ১২৯৬ দাগে ৩ শতক জমি বরাদ্দ নিয়েছেন। কিন্তু তিনি দখল নিয়েছেন খুলনার আড়ংঘাটা থানাধীন ১ নং তেলিগাতী মৌজার বি আর এস ১/২ নং খতিয়ানের ১৪৩৯ নং রাস্তা শ্রেণীভুক্ত দাগে দেয়াল নির্মান করেছে। ভুক্তভোগী সেলিনা বেগমসহ সকলে জানান, খুলনার আড়ংঘাটা থানাধীন ১ নং তেলিগাতী মৌজার বি আর এস ১/২ নং খতিয়ানের ১৪৩৯ নং রাস্তা শ্রেনীভুক্ত দাগের জমি আমরা দীর্ঘ ১০০ বছরের অধিক সময়ধরে ভোগ দখলকার আছি। উক্ত জমিতে পূর্বে একটি বটগাছ ছিল বিধায় রাস্তার মোড়টি বড় সৃষ্ট হয়। যাহা আমাদের চলাচলের রাস্তা হিসাবে দখলে ছিল। বর্তমানে উক্ত রাস্তাভুক্ত জমির পূর্বপার্শ্বে ১৩৭০ নং দাগের জমি আলমগীর কবির ক্রয় করেন। আলমগীর কবির ক্রয়কৃত জমির সীমানা বর্ধিত করণের জন্য দিন দিন সীমানা বৃদ্ধি করতে করতে আমাদের চলাচলের রাস্তা আটকায়ে ইটের গাথুনির সীমানা নির্মান করেছে। আমরা চলাচলের রাস্তা আটকানো নিয়ে আলমগীর কবির কে প্রশ্ন করলে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি দেন এবং বলেন তোদের গৃহবন্দী করে রাখবো, কারোর কোন ক্ষমতা নেই, আমি আলমগীরকে ঠেকাবে। আমার ক্ষমতা সম্পার্কে তোদের কোন ধারনা নেই। যা তোরা ই এন ও, এসি ল্যান্ডে নালিশ কর। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, সরকারি রাস্তা জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণের বৈধতা নেই। যদি তিনি প্রাচীর নির্মাণ করে থাকে সেটি ভেঙে দেয়া হবে। রাস্তার জায়গা কিভাবে তিনি বরাদ্দ নিয়েছে সেটি দেখে যদি রাস্তার জায়গা হয় তাহলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে। হয়তো তিনি আমাদের অফিসকে ভুল ব্যাখা দিয়ে রাস্তার জমি বরাদ্দ নিয়েছেন। এটি তদন্ত করতে আমি নিজেই সরজমিনে যাবো। তিনি ভুক্তভোগীদের খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করতে বলেছেন। রাস্তার জমিতে প্রাচীর নির্মাণকারী আলমগীর কবির বলেন, “আমি বৈধভাবে ডিসি অফিস থেকে জমি বরাদ্দ নিয়েছি তারপর প্রাচীর নির্মাণ করেছি। আমি সার্ভেয়ারের সাথে কথা বলার পরেই কাজ শুরু করেছি।” এলাকাবাসী ইজারা বাতিল করে সৈয়দপুর ট্রাস্ট এর সম্পত্তি রক্ষা করার দাবী জানান।