ডুমুরিয়ায় ভুয়া এসআই আটক
ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ ডুমুরিয়ায় এসআই পরিচয়ে এক মহিলার নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে লিটন মিয়া ওরফে মিলন (৩২) নামের এক ভুয়া পুলিশ আটক হয়েছে। সে শেরপুর জেলা সদরের চন্দননগর এলাকার আকরাম আলীর ছেলে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চিংড়া টলারঘাট এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
থানা পুলিশ ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, একমাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিটন মিয়া ওরফে মিলন ও নাজমা আক্তারের (৩৮) পরিচয়। কথা চালাচালির এক পর্যায়ে লিটন নিজেকে পুলিশের এসআই হিসেবে পরিচয় দেন এবং ডুমুরিয়া থানায় দায়িত্বরত আছেন। এতেই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে গড়ে ওঠে প্রেমজ সম্পর্ক। দু’জনেই নেন বিয়ের প্রস্তুতি। গত ১৮ নভেম্বর সকালে পটুয়াখালী থেকে গোজগাজ করে খুলনায় আসেন নাজমা আক্তার। সঙ্গে আনেন ২ লক্ষাধিক টাকা। দু’জনের সাক্ষাৎ শেষে বিয়ের কেনাকাটা করতে নাজমার নিকট থেকে কৌশলে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়েন লিটন। সেই থেকে তার ফোন বন্ধ। এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার জানান, উনি আমাকে ঠকিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সম্পর্কের কিছু দিন পরে মিশনে টাকা আটকা পড়ে আছে এবং তার জন্য উর্দ্ধতন স্যারকে ঘুষ দিতে হবে বলে প্রায় ৬০ হাজার টাকা ধার করে নিয়েছিল। এখন দেখছি উনি ভুয়া পুলিশ ও একটা প্রতারক। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার এসআই মনিরুজ্জামান মোল্ল্যা জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে আটক লিটন মিয়া ওরফে মিলন একটা বড় মাপের প্রতারক। নিজেকে বড় অফিসারের আতœীয় বা পুলিশ পরিচয়ে মহিলাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া ওই ঘটনায় উপজেলার শোভনা মধ্যপাড়া এলাকা থেকে সঞ্জয় মল্লিক (৩৮) নামে এক স্টুডিও মালিককে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা জানান, ভুয়া পুলিশ সেজে প্রতারণার অভিযোগে আটক দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু হয়েছে যার নং-১৮। এবং আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।