স্থানীয় সংবাদ

শীত মৌসুমের শুরুতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ নগরীতে শীত মৌসুম শুরুতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। গেল কয়েকদিনে হঠাৎ জাপটে ধরছে শীত কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। তবে হঠাৎ শীত জেকে বসবে এমন ভাবে প্রস্তুত ছিলনা নগরবাসী। যেকারণে গরম পোশাক কিনতে শিশুকিশোর বয়স্ক সব শ্রেণীর মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে মার্কেট পাড়াতে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনেও বিভিন্ন আইটেমের ছোট বড় সব ধরনের গরম পোশাক বিক্রির বিজ্ঞাপন রয়েছে। বিশেষ করে লম্বা হাতা মোটা কাপড়ের গেঞ্জি, হুডি গেঞ্জি, সোয়েটার, জ্যাকেট, জুতা, কেডসসহ এমনকি শীতের চাহিদা মোটাতে ইলেকট্রন্ক্সি আইটেম গিজার, রুম হিটার বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ফুটপাত দোকান গুলোতে ক্রেতা সমাগম বেশি। নগরীর ডাক বাংলা এলাকায় ভ্রাম্ম্যমান ভ্যানে হাক-ডাক ছেড়ে বিক্রি করা হচ্ছে বেশি কিছু শীতের পোষাক। এসব দোকানে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন আইটেমের গরম পোশাক। দামে কম আর মান ভালো থাকলেই ক্রেতারা বেশি ভিড় জমাচ্ছে ফুটপাতের এসব দোকানে। কথা হয় ক্রেতা তাসলিমা বেগমের সাথে তিনি বলেন, আমার ছোট ছেলের বয়স ৭ মাস ছেলেটার জন্য এখনও কোন গরম পোশাক ক্রয় করা হয়নি। হঠাৎ রাত্রে শীত উপস্থিত হবে আমরা কেউ বুঝতে পারিনি। তাই ছেলেটার জন্যসহ আরও কিছু গরম পোশাক ক্রয় করতে এসছি। দাম খুব বেশি নেয়া হচ্ছেনা। আগের বছরের তুলনায় সামান্য বেশি নেয়া হচ্ছে। এটা বলতে পারেন স্বাভাবিক কারণে প্রতি বছর সব কিছুর দাম একটু বাড়তী থাকবে। এছাড়া কথা হয় ক্রেতা মোঃ মাসুম হোসেনের সাথে তিনি বলেন, শীত এত তাড়াতাড়ি চলে আসবে আমার বুঝতে পারিনি। এমনকি প্রস্তুত ছিলামনা। আমিসহ পরিবারে সবার জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসছি। তবে মনে হচ্ছে আগের বছরের তুলনায় দাম বেশি হাকাচ্ছে। এছাড়াও একই কাপড়ের বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন দাম। তারপরও পোশাক তো কিনতে হবে। এছাড়া জুতার দোকানেও দেখছি কেডস, জুতার দাম বেশি। শীতের সময়ে জুতা, কেডস এর চাহিদা থাকায় দাম হাকাচ্ছে দোকানিরা। এ বিষয়ে কথা হয় ফুটাপাতে ভ্রাম্যমান ভ্যানে পোশাক বিক্রেতা মানিক মিয়ার সাথে তিনি বলেন, আমাদের কাছে দাম কম তাই ক্রেতারা ভিড় করে। তবে ক্রেতার ভিড় থাকলে কি হবে তারা শুধু যাচাই বাচাই করে । অর্ধেক ক্রেতারাও ক্রয় করে না। তারা এক দোকান ঘেটে অন্য দোকানে চলে যায়। এ বিষয়ে খুলনা এ জব্বার মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ি আলামিন হোসেন বলেন, গেল বছরের শীতের পোশাক বিক্রি করছে সব ব্যবসায়িরা। এবছর এখনও নতুন কোন পোশাক আমদানি করা হয়নি। আমরা বাহিরের দেশ থেকে আমদানি করা পুরাতন কাপড়ের বেল কিনে সে গুলো আবার মান ভেদে বিক্রি করি। এবছর মনে হয় পুরাতন কাপড়ের বেলের দাম আরও বাড়বে। ক্রেতারা আসছে আগের তুলনায় একটু বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button