চিতলমারীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান
# সাড়ে ৩ লাখ টাকাসহ ৩ দলিল লেখক আটক #
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ভুমি রেজিঃ অফিসে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সাড়ে ৩ লাখ টাকাসহ ৩ জন দলিল লেখক আটক হয়েছে। গেল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা পরিষদ অভ্যান্তরে যৌথবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আটককৃতরা হলো, দলিল লেখক সুব্রত অধিকারী (৪২), সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি খান মনিরুজ্জামান (৫১) ও চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও দলিল লেখক শেখ শামিম আনোয়ার (৫১)। এ সময় জমির মালিক ও ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া ৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার পুর্বক জব্দ করা হয়। আটক দলিল লেখক সুব্রত অধিকারী বাগেরহাট সদরের বিষ্ণুপুর খালিশপুর গ্রামের কালিপদ অধিকারীর ছেলে, খান মনিরুজ্জামান চিতলমারী উপজেলা সদরের মৃত আব্দুল মজিদ খানের ছেলে ও শেখ শামিম আনোয়ার একই উপজেলার শিবপুর বেপারীপাড়া গ্রামের মৃত শেখ মোস্তফা আনোয়ারের ছেলে। এ ঘটনায় শুক্রবার উপজেলার শিবপুর বেপারীপাড়া গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেনের ছেলে এস এম নান্টু হাসান বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করেছেন। ঘটনা বিষয়ে জানা গেছে, বাদী এস এম নান্টু হাসান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামীসহ অজ্ঞাত পলাতক আসামীরা চিতলমারী উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে দলিল লেখক সমিতির কথিত ব্যানারে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার সাধারণ ও নীরিহ মানুষের নিকট হতে দলিল রেজিষ্ট্রি বাবদ সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও প্রতারণামূলকভাবে অতিরিক্ত টাকা আত্মসাৎ করেছে। তিনি সমাজের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বিষয়টি স্থানীয় যৌথবাহিনীকে মৌখিক ভাবে অবহিত করেন। বৃহস্পতিবার রাতে যৌথবাহিনী উপজেলা পরিষদের মধ্যে সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে অভিযান চালান। এ সময় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও মামলার ২নং আসামীর চেম্বারের টেবিলের ডানপাশের ড্রয়ারের ভিতর থেকে বর্নিত সকল আসামীসহ ৫-৬ জন আসামী টাকা ভাগবাটোয়ারা করার সময় নগদ ৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকাসহ ৩ জনকে আটক করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভূক্তভোগী জানান, চিতলমারী উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার অফিসকে ঘিরে ৫৫-৬০ জন দলিল লেখক রয়েছেন। এরা সমিতির ব্যানারে দাতা ও গ্রহীতাকে জিম্মি করে প্রতিটি দলিলে শতকরা ২ টাকা করে টাকা আদায় করেন। যা সম্পুর্ন বেআইনী। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ,সিন্ডিকেটের নামে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও গরীবের কষ্টার্জিত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নানা কৌশল এ অফিসে। চিতলমারী থানার ওসি এস এম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে টাকাসহ ৩ জন আসামীকে ঘিরে রাখে। আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে টাকাসহ আসামীদের থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে জেলা সারেজিষ্টার মো. রুহুল কুদ্দুস সংবাদ কর্মীদের বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। অফিস বন্ধ তাই রবিবারের আগে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবনা। দলিল লেখকরা অনিয়ম-দূর্নীতি করলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।