খালিশপুরে অবৈধ স্থাপনা রক্ষায় চলছে চাঁদাবাজি

# ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেধে দিয়েছে কেসিসি #
স্টাফ রিপোর্টারঃ নগরীর খালিশপুর ১১নং ওয়ার্ডের ১৬নং রোডে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ঠেকানোর কথা বলে মহল বিশেষ শুরু করেছে চাঁদাবাজি। সড়কটি প্লাটিনাম ২নং গেট থেকে শুরু করে পিপলস পাঁচতলা কলোনীর পাশ দিয়ে লাল হাসপাতাল সড়ক পর্যন্ত লম্বা। তবে কেসিসি বলছে শক্ত কথা। কোন তদ্বিরে কাজ হবে না। অবৈধ দখলদারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কেসিসি তাদের আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের স্থাপনা নিজ উদ্যোগে অপসারণ করবে। তা না হলে কেসিসি উচ্ছেদ করবে বলে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মশিউজ্জামান জানান। খালিশপুর ১১নং ওয়ার্ডের ১৬নং রোডে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে ৬০-এর বেশী স্থাপনা। ওই সব স্থাপনা গড়ে একটি মহল বছরের পর বছর ভাড়া দিয়ে টাকা আয় করছে। ওই সড়কে কেসিসি ড্রেন করার জন্য তারা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ইতোপূর্বে নোটিশ ও মাইকিং করেছেন। তারপরও একটি মহল নানা অজুহাতে স্থাপনা টিকিয়ে রাখতে দৌড়ঝাঁপ করছে। এসব অবৈধ স্থাপনা অধিকাংশই আ’লীগ নেতা-কর্মীদের বলে জানান বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ১১নং ওয়ার্ড আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি মহল স্থাপনা ঠেকাতে দৌড়ঝাপ করছেন। তারা এসব স্থাপনা মালিকদের কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। যা স্থানীয় একজন শ্রমিকদল নেতা ও কতিপয় বিএনপি নেতাদের মাধ্যমে কেসিসিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে। এ হিসেবে চক্রটি স্থাপনা মালিকদের কাছ থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা তুলেছে। যে টাকা তারা স্থাপনা ঠেকাতে বিভিন্ন মহলকে দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে। ওই অবৈধ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ১১নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়। যে কার্যালয়ে ছাত্র-জনতা আন্দোলন ঠেকাতে লাঠি ও দেশী অস্ত্র মজুদ করে রাখা হয়। ৩-৫ আগস্ট কার্যালয়ে মজুদকৃত এসব অস্ত্র ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে ব্যবহার করা হয় বলে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা সাইদুল ইসলাম তুহিন জানান। সেই আ’লীগ অফিস ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কতিপয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তারা নানা ভাবে মায়া কান্না করছে। সামনে নিয়ে আসছে নানা ধরনের মানবিক বিষয়। আ’লীগ নেতা আকরাম মন্ডলের ছেলে যুবলীগ নেতা রুবেল এ চক্রের অন্যতম সদস্য। এসব অবৈধ স্থাপনাগুলো সড়কের অর্ধেক জুড়ে দখল করে রেখেছে। তারা স্থাপনার মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে স্থানীয় শ্রমিকদলের এক নেতা, বিএনপির একাধিক নেতা ও কেসিসিকে ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাপ করছে বলে জানান যুবদলের সাবেক নেতা সেলিম। ১১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাঃ সম্পাদক সরদার আলী আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব বিষয় তিনি কিছু জানেন না। কারণ তিনি দীর্ঘ দিন এলাকায় নেই। কেসিসির এষ্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দীন জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ ও মাইকিং করা হয়েছে। তারপরও তারা প্রশাসকের নিকট সন্তানদের পরীক্ষার কথা বলে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন করেছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রশাসক তাদের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা তাদের স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিবে। না নিলে কেসিসি বুলডোজার চালাতে বাধ্য হবে। এখানে কেসিসি কোনভাবেই ছাড় দেবে না বলে তিনি জানান।