নুরুল করিম ও মিনারার বিরুদ্ধে সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী লেঃ কমান্ডার (অবঃ) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। গতকাল দুপুরর বারোটায় খুলনা প্রেস ক্লাবে হুমায়ুন কবীর বালু মিলানায়তনে লিখিত সংবাদ পাঠ করেন। তিনি বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর ৫ বছর পূর্বের মিমাংসিত বিষয়কে কেন্দ্র করে মিনারা নাজমিন এবং নুরুল করিম নিজেদেরকে হোটেল মালিক দাবী করে।সেই সাথ আমাকে হোটেল পরিচালনা করতে হলে ১ কোটি টাকা প্রদান করতে হবে বলে দাবি করে। তারা মালিকানা চাইলেও ব্যাংক ঋনের কোন দায় নিতে অস্বীকৃতি জানাই। অনেক বার পারিবারিক ভাবে বসাবসি হলেও তাদের একরোখা মনোভাব, সরকারী ক্ষমতার দাপটের কারনে কোন পারিবারিক মুরব্বিদের নিয়ে বসতেও অস্বীকৃতি জানায়। একই সাথে তাদের মনোনিত বিভিন্ন কাস্টমারকে ভাড়াও বিক্রির জন্য প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। সেই সাথে পত্রিকায় বিজ্ঞপত্তিও দেয়। অন্য কোন উপায় না থাকায় গেল ২৮ শে ফেব্রুয়ারী আমি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করি। পরবর্তিতে জানা যায়, নুরুল করিমের ভাষ্য মতে তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ তিনি শশুরের নামে বিনিয়োগ করেছেন দুদককে ফাঁকি দেওয়ার জনা। কিন্তু বিপত্তি হয়েছে তিনি শ্বশুরকে ব্যাংকে জিম্মা রেখে ঋণ গ্রহন করেছেন। ৫,৬ বছর চেষ্টা করেও ভবণটি ভাড়া না হওয়ায় আমার বাবা ব্যাংকে ঋণ খেলাপি হয়ে ৭৫ বছর বয়সে জেলে যাওয়ার উপক্রম হয়। ঋণ গ্রহণের পূর্বে মালিকানা পরিবর্তন করে কেন তার বাবার নামে ঋণ গ্রহণ করেননি? শশুরকে ব্যাংকে জিম্মি রেখে যৌতুক নেওয়ার অভিনব কৌশল তিনি অবলম্বন করেছেন। গেল ১৫ জুলাই মিনারা নাজমিন এবং নুরুল করিম ভূইয়া মাকে বিভ্রান্ত করে সঙ্গেনিয়ে আমার ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের জন্য সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করেন। ২৫ জুলাই সিআরও কেসিসি এর অফিসে শুনানির দিন মিনারা নাজমিন এবং নুরুল করিম ভূইয়া হোটেল সিলগালা করার জন্য সিআরও কে নির্দেশনা দেন। হোটেলের মালিকানা তাদেরকে ছেড়ে না দিলে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। তার এই সন্ত্রাসী আচারণের স্বাক্ষী চীফ রেভিনিউ অফিসার এবং তার ষ্টাফগণ।সিটি কর্পোরেশনে তাদের দাবী প্রত্যাখাত হওয়ার পর আমার অজান্তে পাওয়ার অফ এটোর্নি শাহীরাজ কর্তৃক গৃহীত হয়। এছাড়া গেল ২ আগষ্ট মাকে নিয়ে মিনারা নাজমিন ও নুরুল করিম ভূইয়া দেশ ত্যাগ করেন। শাহীরাজ কিভাবে ২০২০ সালের সমঝোতার চুক্তিটি জাল জালিয়াত মামলা করতে পারে ? যার সাথে আমার বা আমার পরিবারের কোন সম্পর্ক নাই। শাহীরাজ কর্তৃক গৃহীত পাওয়ার অফ এটোর্নি কত তারিখে বা কোন আইনজীবি দ্বারা গৃহীত হয়েছে তার কোন তথ্য নাই। কারণ আইনজীবি জানতেন এক জমির পাওয়ার অফ এটোর্নি কখনো দুই জনের কাছে দেওয়া যায় না। ভবন মালিক জীবদ্দশায় ইস্টার্ন ব্যাংকে লোন গ্রহনের পূর্বে সকল ক্ষমতা অর্পন করেছেন। তাহলে একই জমির উপর হোসনেয়ারা বেগম কিভাবে শাহীরাজকে পাওয়ার অফ এটোনি দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন? তাই আইনজীবি নোটারি করার সময় তার কোন পরিচয় বা সিল ব্যবহার করেননি। ওয়ারিশ হিসেবে হোসনেয়ারা বেগম যদি মালিকানা দাবি করেন তাহলে তার দলিল, নামজারি, সলে নামা কোন না কোন মালিকানার দালিলিক প্রমাণ কোর্টে উপস্থাপন করা সমীচিন ছিল। মালিকানার কোন রকম প্রমান না দিয়ে তিনি সম্পত্তির আত্মসাৎ হচ্ছে এই মর্মে কিভাবে মামলা করার ক্ষমতা দিলেন? তাছাড়া ওয়ারেশ দাবি করলেও একা পাওয়ার অফ এটোর্নি দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। মায়ের পরিচয় ব্যবহার করে সহানুভূতি পাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকারী মিনারা নাজমিন এবং নুরুল করিমের সার্থ উদ্ধারে তাদের দুর্নীতির বিশ্বস্ত সহযোগী শাহীরাজকে দিয়ে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।মামলার বিষয়বস্তুতে সম্পত্তি আত্মসাৎ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু ভাড়াটিয়া ডিড দিয়ে কিভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎ করা সম্ভব? যিনি বাবার মৃত্যুর পর বাটোয়ারা মামলার মাধ্যমে সম্পত্তির অংশ বুঝে নেওয়ার আহবান জানিয়েছে।৪ঠা মার্চ ২০২০ তারিখের ক্রয়কৃত স্ট্যাম্প এ সমঝোতায় অংশগ্রহণকারী বাবা-ছেলে বা পিতা-পুত্রের সম্পর্কে ১ম ও ২য় পক্ষ হিসেবে যে সমঝোতা চুক্তিটি করা হয়েছে সেখানে ১লা জানুয়ারি ২০২০ স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং উভয়ের পক্ষের সম্মতিতে মার্চ মাসে এসে জানুয়ারি তারিখটি ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ সর্বময় অভিভাবক হিসেবে পিতা তার স্বাক্ষরের সাথে ১ লা জানুয়ারি ২০২০ সাল ব্যবহার করায় ছেলে হিসেবে আমিও ঠিক একই তারিখ ব্যবহার করেছি। কারণ এই সমঝোতার চুক্তির অনেক পূর্বেই বাবার মৌখিক আলোচনার ভিত্তিতে ১লা জানুয়ারি ২০২০ থেকে ভাড়াটিয়া হিসেবে সকল শর্ত পালন করতে সম্মত ছিলাম। বাদী তার আর্জিতে ষ্ট্যাম্পটি ট্রেজারীতে কবে উৎপাদন হয়েছে, ভেন্ডর কিনছেগ্রাহক কিনছে সবই সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করেছেন যা সত্য হিসেবে গ্রহণ করায় আদালতে মামলার কার্যক্রম চলমান। বাদীর প্রদত্ত তথা সত্য হওয়ায় মার্চের আগে কখনই এই ষ্ট্যাম্পে কোন স্বাক্ষর করা সম্ভব নয়। আমাদের ব্যবহৃত ষ্ট্যাম্প এর সকল তথ্য ট্রেজারিতে উৎপাদন, ভেন্ডর এবং গ্রাহকের ক্রয়ের কোন তারতম্য নাই, তাহলে কিভাবে ষ্ট্যাম্প জালিয়াতির অভিযোগ এই মামলায় গৃহীত হল? আদালত যদি ১লা জানুয়ারি স্বাক্ষরকে বেস লাইন হিসেবে ধরে নেন তাহলে ষ্ট্যাম্প এর সাথে তার ট্রেজারিতে উৎপাদন, ভেন্ডর এবং গ্রাহকের তারিখের ক্রয়ের সাথে সামঞ্জস্য থাকত না এবং ষ্ট্যাম্পটি হত সরকারের রাজস্ব ফাকি দেওয়ার জন্য আমার দ্বারা প্রস্তুতকৃত। শুধুমাত্র সমঝোতায় অংশগ্রহনকারী দুইজনের সম্মতিতে এবং তাদের ব্যবসায়িক সুবিধার্থে মার্চ মাসে ষ্ট্যাম্প ক্রয় করে কার্যকারী তারিখ হিসেবে পহেলা জানুয়ারী ২০ সালে প্রদান করা হয়েছে। তাতে ৩য় কোন ব্যক্তি যুক্তি উপস্থাপন করার কোন যুক্তিসঙ্গত বা ন্যায্য কোন কারণ নেই।এমনকি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভিত্তিহিন অন্যায্য একটি কারন উপস্থাপন করিয়ে আদালতের দারস্থ হওয়াটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত। উক্ত তারিখ ব্যবহারে দ্বিতীয় পক্ষ তথা ভাড়াটিয়া হিসেবে আমারই দায়িত্বের সময়সীমা বেড়েছে। তৃতীয় ব্যক্তি শাহীরাজ বা হোসনেয়ারা বেগম এই তারিখের জন্য কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেন যা আদালত কর্তৃক গৃহীত হল?এছাড়া আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিত্যা মামলার তদন্তকারী এস আই বোধন তদন্তকালীন সময়ে আমার কোন প্রকার আত্মত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য গ্রহন করেন নাই। এমনকি অত্যন্ত গোপনে পক্ষপাত মূলক অসত্য রিপোর্টটি আদালতে প্রেরন করেছেন। আদালতও আমার বক্তব্য আমলে নেওয়া হয়নি। সম্পূর্ন নির্দোষ হয়েও সত্যকে সত্য হিসেবে আদালতে প্রমানিত করার সর্বোচ্চ বিরাম্বনা আমাকে পোহাতে হয়েছে। এমনকি আমার মায়ের সাথে ফোনে অসংখ্য বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মিনারা নাজমিন কথা বলতে দেননি। মা কোর্টে উপস্থিত হলে তাদের ষড়যন্ত্র ফাস, তাদের চাকুরিতে সমস্যা এবং আইনি জটিলতা পোহাতে হবে বিধায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মাকে আমেরিকায় আটকে রেখেছে। কোটের্ যেন উপস্থিত না হতে পারে। এ জন্য মাকে তারা মানসিক বিকলগ্রস্থ্য বা মেরেও ফেলতে পারে। সংশ্লিষ্ট থানা এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা, বিচারিক কারে্য নিয়োজিত আদালতের কর্মকর্তা এবং কর্মচারী নুরুল করিম এবং মিনারা নাজমিনেন মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র, রাজনৈতিক ক্ষমতা, অর্থের প্রভাব ও প্রলোভন, চাকুরির ক্ষমতা ব্যবহার করে বিচার কারে্য নিরপেক্ষতার পরিবর্তে সকলকে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন, নির্দোশ ব্যক্তিকে জেলে পাঠিয়ে অন্যায়ভাবে সম্পত্তি গ্রাস করার ষড়যন্ত্রের সাথে একযোগে কাজ করেছেন। তদন্ত এবং বিচার কারে্য আমি সর্বোচ্চ অবিচার ও অনিয়মের সম্মুখীন হয়েছি। দায়িত্বে নিয়োজিত এবং দেশের সকল মানুষের কাছে এই দূর্নীতিগ্রস্থ পক্ষপাত দুষ্ট ব্যক্তি বর্গের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করি।