খুলনায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন এর কার্যালয় উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, দীর্ঘ ষোলোটি বছর ফ্যাসিবাদী শাসনের জুলুম-নির্যাতনে সমগ্র দেশ জর্জরিত। দুর্নীতি, লুটপাট, নাগরিক অধিকার হরণ ও অপশাসনের করাল গ্রাসে সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতি, প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ত্যাগ-কুরবানির বিনিময়ে বাংলাদেশ এখন ইতিহাসের এক সম্ভাবনাময় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। সকল শ্রেণিপেশার নাগরিকদের অংশগ্রহণে দেশকে পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক সংস্কারে সরকারকে সহায়তা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শ্রমিকরা দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। আর খূলনার বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় বিপুলসংখ্যক শ্রমিক এখানে বসবাস করে। এই বিশাল শ্রমিকজনতার কাছে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার দাওয়াতকে পৌঁছে দিতে হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বি ১৫০৫) এর কার্যালয় উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১ নং গেট সংলগ্ন এলাকায় এ কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সভাপতি আনিসুর রহমান মন্টু। সাধারণ সম্পাদক বুলবুল কবিরের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক খান গোলাম রসূল, খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শ্রনিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহফুজুর রহমান, শ্রমিক নেতা জাহিদুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজি: বি-১৫০৫) এর নেতৃবৃন্দ শ্রমিক নেতা বদর রশিদ মিন্টু, শহিদুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, ফারুক হাওলাদার, বাকী বিল্লাহ, আমির হোসেন তোতা, আবুল হাসান বুলবুল, হাসিবুর রহমান, জিল্লুর রহমান, আব্দুস সালাম ও কামরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত শ্রমিকদের কোনো অধিকার বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা দেখেছি বিভিন্ন সংগঠন শ্রমিকদের কথা বলে আন্দোলন করেছে। কিন্তু তারা শ্রমিকদের কোনো অধিকার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। শ্রমিকদের ব্যবহার করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। তাই শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে ইসলামিক আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।