ফুলতলায় পৈত্রিক ভিটার কবরখানায় দোকানঘর : সরকারী জায়গা দখল করে চলছে জমজমাট ব্যবসা

# পারিবারিক কবরখানার মধ্যে ঢুকে ব্যবসা চলছে চা-বিড়ির, পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে কবরখানার #
# সড়ক ও জনপথ (সওজ)’র জায়গায় ঘর তুলে আদায় করা হচ্ছে ভাড়া, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনার ফুলতলা উপজেলার আওতাধীন যুগ্নীপাশা (শেষ সীমানা) এলাকায় পৈত্তিক ভিটার উপর কবরখানার উপর দোকানঘর স্থাপন ও কবরখানা সংলগ্নে সড়ক ও জনপথ (সওজ)’র জায়গার উপর অবৈধভাবে দোকানঘর তুলে ভাড়া দিয়ে ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সরকারী খাস জমিতে অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী তার লিখিত অভিযোগে জানান, আমার তফসিল ভুক্ত সম্পত্তি বিআরএস খতিয়ান ১/১ বিআরএস দাগ নং ১৭৫, বিআরএস খতিয়ান ৮৫০ বিআরএস দাগ ১৭৪ এর জমির পরিমান .০৪৮ একর পৈত্তিক সম্পত্তি। আমার জমির উত্তর পাশের্^ আমাদের পারিবারিক করবস্থান এবং জমির সীমানার শেষে সরকারি খাস জমির অবস্থিত। সরকারি খাস জমির সামনে যশোর-খুলনা মহাসড়ক, কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকারে আমলে কিছু চিহিৃত কতিময় সমষ্টিগত ব্যক্তিদ্বয় আমি ও আমার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তারা কবরস্থানে পাশে স্থায়ীভাবে দোকানপাট গড়ে তুলেছেন এবং দোকানদারদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ভাড়ায় করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। এখানে মাদকের বিকিকিনিও চলে। কবরের উপর স্থাপনা নির্মান করাতে একদিকে যেমন আমাদের পারিবারিক অবস্থান ও সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে, অপরদিকে কবরস্থানের পবিত্রতা বিনষ্ট হচ্ছে এবং ওই চিহিৃত কতিময় সমষ্টিগত ব্যক্তিদ্বয়ের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তারা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর হওয়ার দরুন তাদের বিরুদ্ধে আমরা টু শব্দটুকু করতে পারছি না।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী অভিযোগকারী শেখ ইকবাল হোসেন (বাদল) জানান, আমি দীর্ঘদিন এলাকায় ছিলাম না। দীর্ঘদিন পর এলাকায় এসে দেখি আমার জমির উত্তর পাশের্^ আমাদের পারিবারিক করবস্থান এবং জমির সীমানার শেষে যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্নে সরকারি খাস জমি দখল করে আওয়ামীলীগ সরকারে আমলের কিছু চিহিৃত কতিময় সমষ্টিগত ব্যক্তিদ্বয় কবরস্থানের সম্মুখে ও কবরস্থানের ভেতরে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ভাড়া আদায় করে খাচ্ছেন। এ ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা আমি ও আমার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে চলেছে। এমতাবস্থায় আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে ৪নং ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার জানান, বিষয়টি আমি অবগত। বিষয়টির বিস্তারিত জানার জন্য উভয় পক্ষকে ডেকেছি। বে-আইনিভাবে কোন স্থাপণা গড়ে ভোগ-দখল করলে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহন করবো। এ ব্যাপারে ফুলতলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাপিয়া সুলতানা জানান, এ ব্যাপারে উভয় পক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে। বিষয়টির উপর শুনানি করা হবে, উভয় পক্ষকে শুনানির নোটিশ দেওয়া হবে। কিসের ভিত্তিতে (ডকুমেন্ট) অভিযুক্তরা স্থাপনা তৈরী করেছেন তার যাচাই-বাছাই করা হবে। বে-আইনিভাবে কোনো স্থাপনা গড়ে তুললে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে সওজ, সড়ক জোন খুলনার সিনিয়র সহকারী সচিব পিযূষ চন্দ্র দে জানান, এ অভিযোগের এই আবেদনগুলো ডিভিশন নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবর পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রস্তাবনা পাঠালে, ওই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করি। বিষয়টির প্রস্তাবনা আসলে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।