আশাশুনিতে গরু দেওয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
আশাশুনি প্রতিনিধি ঃ আশাশুনিতে মিতা আক্তার হনুফা নামের প্রতারক চক্রের এক নারী সদস্য। সে খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার গজালিয়া গ্রামের গাউছুল আলম ভুট্টোর স্ত্রী। এসময় তার সহযোগী আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের ডুমুরপোতা গ্রামের করিম গাজীর ছেলে ইব্রাহীম গাজী (২৭) কৌশলে পালিয়ে গেছে। প্রতারক মিতা গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের কাছে নিজেকে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পে চাকরী ও প্রতিবন্ধী পূর্ণবাসন সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পরিচয় দিয়ে তাদের সমিতি করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র চেয়ে নেন। সদস্যদের গর“/ছাগল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১১০০ টাকা করে উত্তোলন করছিলো। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিতা আশাশুনির তুয়ারডাঙ্গাতে কামাল হোসেনের বাড়িতে বসে তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের আনার“ল সরদারের স্ত্রী টগর , আমিনুদ্দিন সরদারের স্ত্রী আকলিমা , সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন, শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন, যেন্নার স্ত্রী রওশনারা, আলমগীর হোসেনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন, মোশারফের স্ত্রী, কামাল হোসেনের স্ত্রী, সাইফুল ইসলাম এর স্ত্রী, আনিস মোল্লার স্ত্রী, আলমগীর হোসেন স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা, জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী, মোবারক হোসেনের স্ত্রী মোট ১৬ জনের কাছ থেকে গর“ দেওয়ার নাম করে ১১০০ টাকা করে উত্তোলন করেন, এমন করে খাজরা, রাউতারা, চেউটিয়া, জামানগর, আশাশুনি বাইনতলা এই এলাকার মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করেছে এই প্রতারক চক্রের প্রধান মিতা তার সহযোগী হিসাবে একজন মোটরসাইকেল চালক আছে ফোন দিলেই তিনি মুহূর্তের মধ্যে হাজির হয়ে তাকে নিয়ে দ্র“ত পালিয়ে যান। এখান থেকে বেশ কিছুদিন আগে বড়দল ইউনিয়নের কেয়ারগাতী গ্রামে এভাবে টাকা উত্তোলন করার সময় সন্দেহ হলে তারা প্রতারক মিতাকে আটক করে। স্থানীয় চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানার মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে জানতে পারেন তারা ভুয়া পরিচয় দিয়ে মানুষকে ঠকাচ্ছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ইব্রাহিম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে মিতাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এঘটনায় মহাজনপুর গ্রামের তারিকুল ইসলামের স্ত্রী ভুক্তভোগী আজমিরা খাতুন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় উপরোক্ত দুই প্রতারককে আসামী করে এজাহার দাখিল করেছেন। তিনি বলেন- মিতা গতবছরের ১৫ অক্টোবর সহযোগী ইব্রাহিমকে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে নিজেকে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের কর্মী বলে দাবী করে। ১০৬০ টাকা দিয়ে সমিতির সদস্য হলে তারা গর“-ছাগল দেওয়ার কথা বলে। সে মোতাবেক আমার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়ে আমাকে ৩টি গর“ দিবে বলে ৩৮০০ টাকা নেয়। পরে জানতে পারি তারা মধ্যম চাপড়া গ্রামের রবিউল সরদারের স্ত্রী মাসুমা খাতুন, সাইদ সরদারের স্ত্রী আনজিরা খাতুন, ইব্রাহিম সরদারের স্ত্রী মমতাজ খাতুন, হায়দার গাজীর স্ত্রী পার“ল খাতুন, মৃত আবুল বাসারের স্ত্রী নাজমা খাতুনের কাছ থেকে একই কথা বলে ১০৬০ টাকা হারে উত্তোলন করে পরে আসবে বলে চলে যায়। কিন্ত এক বছর অতিক্রান্ত হলেও তারা আর আসেনি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে জানতে পারি প্রতারক মিতা ডুমুরপোতা গ্রামের তার সহযোগি ইব্রাহীমের বাড়িতে এসে আবারও একই কথা বলে টাকা উত্তোলন করছে। বিষয়টি বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানাকে জানালে তিনি ইউপি সদস্য শ্রাবন্তী বৈরাগী ও গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে প্রতারক মিতাকে থানাপুলিশে সোপর্দ করিয়েছিলেন। বুধবারের বিষয়টি তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলে তারা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।