আগামীতে আমরা একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই
# সাতক্ষীরায় জামায়াতের কর্মি সম্মেলনে জামায়েত ইসলামীর আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমান #
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীতে আমরা একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। সেই বাংলাদেশে মানুষে মানুষে থাকবে না কোন ভেদাভেদ। সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই। শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জেলা জামায়াতের বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর জামায়াত ইসলামীর রাজধানী নামে খ্যাত সাতক্ষীরার কর্মী সম্মেলন বিশাল জন সমুদ্রে পরিণত হয়। কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ দুপুরের আগেই কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে যায়। শহরের প্রতিটি রাস্তায় মানুষের ভিড়ে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। সাতক্ষীরা জেলা জামাতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দেস আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাসার, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মোসলেম আলী, ওমর ফারুক, প্রভাষক অবায়দুল্লাহ,খলণা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ । ডাক্তার শফিকুর রহমান আরো বলেছেন, কয়েক হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। আমাদের সন্তানদের এই জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু বাংলার আকাশে কিছু শকুন ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। শকুনের দিকে তীর্যক দৃষ্টি রাখতে হবে। যেন কোন শকুন মাটিতে নামতে না পারে। তিনি আরো বলেন, বিগত ১৭ বছরে সাতক্ষীরার মানুষ সব চেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। দেশের মধ্যে সাতক্ষীরার একজন সংসদ সদস্যের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি এই জনপদের সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল। সাতক্ষীরার মানুষের উপর তারা জুলুম করেছে, খুন করেছে, অনেকের পঙ্গু বানিয়েছেন, ইজ্জতের উপর হাত দিয়েছে, সম্পদ লুটপাট করেছে। মানুষকে তারা তাদের দাশে পরিণত করেছে। সারাদেশে একই অবস্থা ছিলো। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিলো সাতক্ষীরায়। তিনি এসময় বলেন, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেন বাংলার মাটিতে স্বৈরাচার আর দাঁত বসাতে না পারে।