যাদের জন্য সারাজীবন করলাম তারাই আমাকে বাড়ি ছাড়া করছে

# সংবাদ সম্মেলনে ওজোপাডিকোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি বুলবুল #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ আমি আমার ভাই-বোনদের লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছি। ভাগ্নিকে লেখাপড়া করিয়ে ডাক্তার বানিয়েছি। উপযুক্ত পাত্রের সাথে বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তারাই এখন আমাকে বাড়ী ছাড়া করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কথাগুলো বললেন ওজোপাডিকোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি মোঃ নাসিমুল আলম বুলবুল। গতকাল রোববার খুলনা প্রেসক্লাবে আযোজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি এ কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নগরীর ১১, রায়পাড়া ক্রস রোড এলাকায় আমার বাবা মৃতঃ মোঃ আব্দুল গণি প্রায় দুই বিঘা জমি ক্রয় করেন। ওই জমির ৫ কাঠার উপর একটি চারতলা ভবন আমার বাবার নামে এবং ও ৬ কাঠার উপর অপর একটি চারতলা ভবন আমার মায়ের নামে রেকর্ডীয় সম্পত্তি ছিল। ভবন দুটি হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স ও ব্যংক লোন নিয়ে তৈরী করা হয়। পরবর্তীতে আমি আমার অর্জিত অর্থ দিয়ে বাবার কাছ থেকে ফাঁকা জমি ও পুকুর ক্রয় করে ওই জমি সকল ভাই-বোনদের মাঝে দলিল করে নেই। বন্টন অনুযায়ি আমরা দুই ভাই ৫ কাঠা করে এবং চার বোন ৪ কাঠা করে পায়। এছাড়া ৫ কাঠার উপর নির্মিত চারতলা ভবনটিও আমি বাবার কাছ থেকে নগদ ৭ লাখ টাকায় এবং হাউজ বিল্ডিং এর লোন পরিশোধ্যের শর্তে ত্রি-পক্ষীয় দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করি এবং লোনের সকল কিস্তি পরিশোধ করি। এ অবস্থায় আমি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মা আমাকে বলেন যে ‘তুই জমি দুইটা আমার নামে দে,। কারণ তুই মারা গেলে তোর সম্পত্তি বিক্রি করে তোর বউ অন্যত্র বিয়ে করে চলে যাবে’। ‘আমি তোর সম্পত্তি তোর ছেলেকে ফেরত দেব, অন্য কাউকে দেব না’। আমি সহজ-সরল মানুষ। মায়ের উপর বিশ^াস ও শ্রদ্ধা রেখে সরল মনে মাকে হেবা করে দেই। আমার মা বেচেঁ থাকাকালে আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের সাথেই ছিল। এ অবস্থায় আমার মা অস্থুস্থ হয়ে পড়লে আমি আর তাকে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি আমার মা মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর আমার জমিতে ফেব্রুয়ারি মাসে অবকাঠামো নির্মাণ করতে গেলে ছোট বোন নার্গিস আক্তার পারভিন ওই জমি ও ভবনগুলি তাদের দাবি করে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়া প্রয়াত মেঝ বোন নাজমিন নাহারের মেয়ে ডাক্তার লাবিবা তাসনিম উর্মি ও তার স্বামী ডাক্তার আব্দুল্লাহ- আল- মুনসুর চারতলা ভবনটি তাদের দাবি করে বাড়ী ছাড়ার জন্য আমি ও আমার ছোট ভাইকে ফোনে হুমকি-ধামকি দেয়। পরবর্তীতে আমি আমার ভাই আদালতে ৬ টি মামলা দায়ের করে। আমারভাগ্নি ডাক্তার লাবিবা তাসনিম উর্মি তার স্বামীকে দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে হয়রানী ও গ্রেপ্তার করায়। বর্তমানে জামিনে বেরিয়ে আসলেও আমাকে এবং আমার ভাইয়ের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তারা আমাদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দিচ্ছেন। ফলে আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমার মা লেখা-পড়া জানতেন। তিনি স্বাক্ষরও করতে পারতেন। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আমি জমির নকল তুলে দেখতে পাই যে- দলিলে মায়ের কোন স্বাক্ষর নেই। টিপ সহি দেওয়া দলিলটি ভূয়া। জাল-জালিয়াতি করে তারা জমি দাবি করছে। এছাড়া জালিয়াতি করা ওই দলিলে তারা একে অপরের স্বাক্ষী হয়েছে। এছাড়া আমাদের আত্মীয়-স্বজন কাউকে সনাক্তকারী না করে সনাক্তকারী করা হয়েছে আমার ভাগ্নি লাবিবা তাসনিম উর্মির বান্ধবীর স্বামী অহেদুজ্জামানকে। যাকে আমার মা ও আমরা কেউ চিনি না। তিনি কোনদিনও আমাদের বাড়ীতে বেড়াতেও আসেনি।