স্থানীয় সংবাদ

খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের আওতাধীন ২৫৮ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীর বেতন নেইখুলনা সিভিল সার্জন অফিসের আওতাধীন ২৫৮ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীর বেতন নেই

# চাকুরী আছে বেতন নেই , দেড় বছর বেতন ছাড়া মানবেতর জীবন পার করছেন কর্মচারীরা #

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ চাকুরী আছে তবে বেতন নেই গেল দেড় বছর যাবৎ খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের আওতাধীন খুলনা সদর হাসাপাতালসহ ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোট ২৫৮ জন আউট সোর্সিং কর্মচারীর। এতে করে এসব গরীব অসহায় মানুষেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়া কবে বেতন পাবে তাও কেউ জানেনা। এ দিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোসার্স তাকবীর এন্টার পাইজের পারিচালক মোঃ ইকতিয়ার হোসেন বলছে আমরা চেষ্টা করছি, প্রতি মাসে ঢাকায় মন্ত্রনালয়ে যেয়ে বসে থাকি ফাইল উঠে কর্মকর্তারা থাকেনা এছাড়া এসব অফিসে প্রতিটি জায়গায় নানা ধরণের হয়রানি করা হয়। আমরা আগে বেতন দিতে পারতাম গেল ২২-২৩ অর্থ বছরে তবে হঠাৎ করে খুলনার ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য’র এপিএস ড. সাঈদুর রহমান তৎকালিন সিভিল সার্জনকে মেয়াদ না বাড়াতে বলেছিল। এদিকে হাসপাতালে দায়িত্বরত কর্মচারীরা কাজ অব্যহত চালিয়ে গেছে এর কারণে কাজ বন্ধ হলে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। যে কারণে আর হয়নি। তবে বর্তমান সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ সফিকুল ইসলাম তিনি যোগদান করেই ফাইল স্বাক্ষর করে মন্ত্রানালয়ে পাঠিয়ে দিলেও তখন অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে। যে কারণে আমরা গেল অর্থ বছরে আর বেতন করতে পারিনি। আশা করছি এই ডিসেম্বর মাসেই হয়তো আমরা বেতন দিতে পারবো। এছাড়া গেল ১৯ মাস যাবৎ বেতন পাচ্ছেনা খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের ৪৪ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীরা মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ এর আওতায় ৪৪ জন কর্মচরীরা এখন হতাশায় ভুগছেন। এদিকে সিভিল সার্জন অফিস বলছে ঠিকাদার হেমায়েত হুসাইন ফারুকের অবহেলায় আজ তারা বেতন পাচ্ছেনা। এমনকি কর্মচারীরা বেতন পাবে এর জন্য সেসব কার্যক্রম করতে সে ক্ষেত্রে তার রয়েছে মারাত্মক গাফিলতি। এ দিকে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে এখন অনেকটা হতাশা। নাম না প্রকাশ শর্তে এক কর্মচারী বলেন, আমি আওয়ামলীগ নেতার মাধ্যমে দুই লাখ টাকা দিয়ে চাকুরী নিয়েছিলাম । গেল এক বছরের বেতন পেলেও আর কোন বেতন পাইনি গেল দেড় বছর চাকুরী আছে কাজ করছি বেতন পাচ্ছিনা। এমনকি মনের মধ্যে সব সময়ে দুশ্চিন্তা থাকে । আসলে কি বেতন পাবো? এমনকি দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়াতে আমার পরিবারের সংসার খরচ মেটাতে পরিবারের সোনার গয়নাগুলো সব বন্ধক রেখেছিলাম। এখন সুদের টাকা বাড়ছে। এ দিকে বেতন পাচ্ছিনা। এসব ঠিকাদারদের গাফিলতি আর রাজনৈতিক নেতাদের পকেট ভরার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বলব আমরা গরীব মানুষ আমাদের আপনি বাঁচান। আমার সকল আউটসোর্সিং কর্মচারী আজ মানবেতর জীবনযাপন করছি। এ বিষয়ে খুলনা সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এদের বেতন দিতে। তবে অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে। আমি এসে অনুমোদন দিয়েছি। তবে এই অনুমোদনটি আরও আগে করা উচিত ছিল। যে কারণে আমরা সমস্যায় পড়েছি। শুনেছি ফাইল স্বাক্ষর হয়ে অর্থ মন্ত্রানালয়ে যাবে। আমরা এক বছরে বেতন ব্যবস্থা করছি আর বাকি মাসের বেতনে বিষয়ে এখনও চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এসব অসহায় মানুষের জন্য আমি আছি। একটা ব্যবস্থা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button