গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানোয় সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের মুখোমুখী করতে হবে

# খুলনায় আনন্দ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বিএনপি নেতা হেলাল #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, ২১ আগস্টের ঘটনায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ আদালতে সাজানো-পাতানো রায় দেয়া ছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানে দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর স্বাধীন আদালতে তারেক রহমানসহ সব আসামীকে খালাস দিয়েছে। এতে স্বাধীন বিচার বিভাগ একদিকে সত্য-ন্যায়ের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নেয়ায় তারেক রহমানসহ জিয়াপরিবারের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার প্রতিহিংসামুলক ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয়েছে। তাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তথাকথিত মামলার বাদী, আইনজীবী, বিচারকসহ নেপথ্যের সকল ষড়যন্ত্রকারীদের অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখী করতে অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
২১ আগস্ট আওয়ামী গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেয়ায় গতকাল রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাৎক্ষনিক আনন্দ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশটি মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মো. শফিকুল আলম তুহিন সঞ্চালনা করেন। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল আরও বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার ঘটনার নেপথ্যের ঘটনা জাতি জানতে চায়। কেনো এগুলো বছর মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসুরী বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা অপবাদ বয়েনিয়ে বেড়াতে হল? এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত সকলকে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে। শুধু তাই নয়, মাফিয়ারানী শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিষ্ট শাসক হতে যারা নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব হাতে পেয়ে জনগনের ভোটাধিকারহরণ করেছেন- তাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি এখন জনগনের। সন্ধ্যায় নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলো মোড় হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। তাৎক্ষনিকভাবে আনন্দ মিছিলে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী-সমর্থক অংশ গ্রহন করেন। উৎফুল¬ নেতাকর্মীরা ‘তারেক রহমান বীরের বেশে/আসবে ফিরে বাংলাদেশে’ এমনি স্লোগানে রাজপথে প্রকম্পিত করে তোলেন।