শীতবস্ত্রের বাজার মুখি হচ্ছেন ‘ক্রেতারা’

নগরীতে শীতের অনুভূতিতে ক্রমশঃই বিপনীগুলোতে ভীড় বাড়ছে ক্রেতাদের
মোঃ আশিকুর রহমান ঃ চলছে অগ্রহায়ণ মাস। ইতোমধ্যেই শীতের আগমন ঘটেছে নগরজুড়ে। বর্তমানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে গেছে। তাছাড়া গত দু’দিন ধরে আকাশে মেঘ বৃষ্টির কারণে আরো বেশি শীতের অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও শীতের তীব্রতা কম থাকলে বর্তমানে সন্ধ্যার পর বেশ ঠান্ডার অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডার হতে মুক্তি পেতে সন্ধ্যার পর নগরের সর্বত্র শীতের গরম পোশাক পরে চলাচল করছে নগরবাসী। খুলনা আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্তমানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে এবং শীত বাড়তে শুরু করেছে। আকাশের মেঘলা ভাব কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যেই শীতের প্রভাব পড়েছে খুলনার শীত কাপড়ের দোকানগুলোতে। শীতের আগমনে মৌসুমী শীতের কাপড় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। ব্যবসায়ীরা শীত পোশাকের দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের পরসা সাজিয়ে রেখেছেন। শীতের তীব্রতা যত বাড়বে, ততই ব্যবসা ভালো হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুলনার অভিজাত মার্কেট হতে শুরু করে ফুটপাতের গরমের কাপড়ের দোকানগুলো দিনজুড়ে বেশ ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব দোকানগুলোতে সন্ধ্যার পর নজরকাড়া ভীড় হচ্ছে বলে জানা গেছে। সাধ্যের মধ্যে গরম পোশাক কিনতে পারাতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে নি¤œবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষেরা বেশি ভীড় করছেন। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়, হাত-পা মোজা, টুপি, মাফলার, জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, মেয়েদের ছোয়েটারসহ বিবিধ পোশাক কিনতে অনেকেই ছুটছেন সেখানে। ঘুরে দেখা গেছে, খুলনার ফেরীঘাট, খুলনা রেলওয়ে মার্কেট, খালিশপুর, দৌলতপুর, ফুলবাড়ীগেট, শিরোমনি, ফুলতলাসহ শহরের মধ্য ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। পোশাক বিক্রেতা সাহেব আলী জানান, এখনো পুরাদমে শীত পরা শুরু করেনি। গত দু’দিন ধরে আকাশে মেঘ, বৃষ্টিও হয়েছে। যে কারণে কয়েক দিনের তুলনায় সন্ধ্যার পর দোকানে শীতের পোশাক কিনতে ক্রেতাদের দেখা মিলছে। দোকানে শিশু, মহিলা ও পুুরুষদের জন্য রুচিশীল শীতের পোশাক তুলেছি। দৌলতপুর রেললাইনের পোশাক ব্যবসায়ী হিরু জানান, কয়েকদিন আগে শীতের তীব্রতা কম থাকলে বর্তমানে বেশ শীত শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে গত দু’দিন ধরে আকাশে মেঘ, বৃষ্টিও হয়েছে। যে কারণে সন্ধ্যার পর বেশ ঠান্ডার অনুভূত হচ্ছে। শীত হাত হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোকানে সন্ধ্যার পর বেশ ভীড় হচ্ছে। অনেক অভিভাবক তাদের ছোট্ট বাচ্চাদের জন্য মোটা পোশাক, লম্বা হাতার গেজ্ঞি, টুপি, মোজা কিনছেন। গত বছর হতে এ বছর বেলের কাপড়ের দাম অনেক বেশি। কম্বল বিক্রেতা সালমান বলেন, বর্তমান বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে দু’দিন ধরে আকাশ মেঘলা, বৃষ্টিও হয়েছে। ঠান্ডার কারণে কম্বলের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতা ফাহিমা আক্তার জানান, রাতে বাইরে বেশ ঠান্ডা পড়ে। ইতোমধ্যে রাতে লেপ বা কম্বল নিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। তাছাড়া সন্ধ্যার পর বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে যে কারণে শীতের পোশাক কিনতে এলাম। কারণ শীতের পোশাকের দোকান গুলোতে সাধ্যের ভিতর অনেক ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। পোশাক কিনতে আসা ক্রেতা তানিয়া রহমান জানান, বাচ্চার বয়স ৭ মাস। কয়েকদিন ধরে বেশ ঠান্ডা পরা শুরু করেছে। তাছাড়া সামনে আরো ঠান্ডা পড়বে। তাই দৌলতপুর বাজারে এলাম বাচ্চার পোশাক কিনতে। মোজা, টুপি, সয়েটার কিনেছি। তবে দাম অনেক বেশি। মোটরসাইকেল আরোহী আকমল হোসেন মিলন জানান, ২/৩ ধরে অন্য দিনের তুলনায় বেশ ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। শীতের কাপড় পরে বাইক চালাচ্ছি তবুও ঠান্ডা লাগে। তাছাড়া সন্ধ্যার পর বেশ ঠান্ডা লাগছে। তাই হেলমেট, মোটা জ্যাকেট আর টুপি, হ্যান্ড গ্লাভস্ পরে বাইক চালাচ্ছি তবুও ঠান্ডা লাগছে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, বর্তমানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে এবং শীত বাড়তে শুরু করেছে। আকাশের মেঘলা ভাব কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে।