স্থানীয় সংবাদ

জাতীয় পতাকায় আগুন এবং হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বিবৃতি

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল খুলনা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এম হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসেন, সুভাষ সাহা, বরকত আলী, হংস শুভ্র হালদার, প্রকৌশলী আবদুল মালেক এক যৌথ বিবৃতিতে ভারতের কলকাতাস্হ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার কার্যালয়ের সম্মুখে ” বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের” সমর্থকরা এবং ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ” হিন্দু সংঘ সমিতির” সমর্থকদের হামলা এবং হাইকমিশনে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন,ভারতে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসের কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনার পেছনে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিষ্ট নরেন্দ্র মোদী সরকারের মদদ রয়েছে। জুলাই অভ্যুথ্বানে দিল্লির পদলেহী হাসিনা সরকারের উচ্ছেদের পরে হাসিনা ও তাদের দোসরদের আশ্রয়- প্রশ্রয় দিয়ে ভারত ইতিমধ্যে তাদের আসল চরিত্র উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত করার সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত নিয়ে ভারত এগোচ্ছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশের একশ্রেণির মতলববাজ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের কাজে লাগিয়ে এদেশে একটি সামপ্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির গভীর চক্রান্তে লিপ্ত ভারত। ভারতের প্রচার মাধ্যমে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের সম্পর্কে অসত্য সংবাদ প্রচার করে বিশ্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে।নেতৃবৃন্দ পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আরজির তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। এই আর্জি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সামিল।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামরাজ্যবাদী ভারত ও পতিত ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার যৌথ চক্রান্ত মোকাবিলা করতে দেশের শ্রমিক- কৃষক – নিপিড়ীত জাতি ও জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ও জাতীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নেতৃবৃন্দ আহবান জানান।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button