যশোরে কিশোরী ধর্ষণের চেষ্টা : থানায় মামলা

যশোর ব্যুরো ঃ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী (১৩) কে বিভিন্ন কথাবার্তা বলার এক পর্যায় ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা শশ্মান রোড শাহাদৎ এর বাড়ির ভাড়াটিয়া এক ব্যক্তি। মামলায় আসামী করেন, বালিয়াডাঙ্গা শশ্মান পাড়ার ইমরাত(৬০)। পুলিশ ইমরাতকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে। মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার মেয়ে বালিয়াডাঙ্গা প্রগতী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। উক্ত লম্পট ইমরাত বাদির প্রতিবেশী। সেই সূত্রে মাঝে মধ্যে বাদির বাড়িতে ইমরাত যাওয়া আসা করতো। গত ২ ডিসেম্বর সোমবার সকাল পৌনে ১১ টার সময় বাদির তার নিজ প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। বাদীর স্ত্রী সকাল ১১ টায় তার কর্মক্ষেত্রে চলে যায়। বাদির মেয়ে বাড়িতে একা থাকায় বেলা পৌনে ১২ টায় ইমরাত বাদির বাড়িতে আসলে তার মেয়ে জানায় তার পিতা মাতা কেউ নেই। এরপর উক্ত লম্পট বিভিন্ন কথাবার্তা বলে বাদির ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে বাদির মেয়ে ড্রইং রুমের মধ্যে থাকা খাটের উপর বলে লেখাপড়া করার সময় উক্ত ইমরাত পিছন থেকে বাদির মেয়েকে জাপটে ধরে। শিক্ষার্থীর ঠোকে কামড় দিয়ে জখম করে। শরীরের বিভিন্নস্থানে স্পর্শ করে। মেয়েকে জোর পূর্বক খাটের উপর শুয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। উক্ত শিক্ষার্থী ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট বৃদ্ধ দ্রুত পালিয়ে যায়। বাদি ও তার স্ত্রী বাড়িতে আসলে শিক্ষার্থী বিষয়টি জানায়। ঘটনার পর থেকে লম্পট ইমরাত পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। তবে যে কোন মুহুর্তে গ্রেফতার হবে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।