স্থানীয় সংবাদ

ভৈরব সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে কাজ বন্ধ

# মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে অবকাঠামো #

শেখ ফেরদৌস রহমান: খুলনা বাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভৈরব সেতু নামে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। আর ২০২১ সালের ২৪ শে মে ভৈরব সেতুর কাজ শুরু করা হয়। দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনাইটেড ক্লাব সংলগ্ন ঈদগায়ের মধ্যে ২৫ নম্বর পিলারের টেস্ট পাইলিংয়ের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। তবে নকশা পরিবর্তন আর কাজ বন্ধ থাকায় পাইল ক্যাপ ৩০টির মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন ১১ পিলারে বেশ কয়েকটি পিলারে রডের উপর মরিচিকা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। দিঘলিয়া- দৌলতপুর সংযোগ সেতুর ভৈরব সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন লিমিটেড (করিম গ্রুপ) নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সেতু বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ)। এ দিকে কাজ বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে চলতি দায়িত্বরত (সওজ) এর (এসও) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, সেতুর নকশা পরিবর্তন হচ্ছে, আগে ছিল দুই লেন এখন চার লেন করা হবে যে কারণে কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনও অনিশ্চিয়তার মধ্যে আছে। তবে সওজ বলছে এমাসের ডিসেম্বর নাগাদ শুরু হবে ভৈরব সেতুর নির্মাণ কাজ। পাশাপাশি জাহাজ চলাচল করতে পারে এর জন্য মূল সেতুর স্লাববটম জোয়ারের পানি থেকে ৬০ ফুট উঁচু হবে। এছাড়া খুলনা যশোর রোড থেকে সেতুতে ওঠার জন্য নগরীর মহসিন মোড়ে একটি ইন্টারসেকশন বা (জংশন) তৈরি করা হবে। এছাড়া চলমান সম্পন্ন কাজ হিসেবে সার্ভিস পাইল ৩০৮টির মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ১৬০টি বাকি কাজ অবশিষ্ট আছে ১৪০টি, টেষ্ট পাইল দুটির মধ্যে দুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পিলার কলাম ৫৮টির মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ১৮টির, এছাড়া পিয়ার ক্যাপ ২৮টির মধ্যে ৬টি সম্পন্ন হয়েছে বাকি আছে ২২টি। এছাড়া দিঘলিয়া, মহেশ্বরপাশা এবং দেবনগর মৌজার ১৭ দশমিক ৪৯ একর ৭ দশমিক ৮ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ১ দশমিক ৩১৬ কিলোমিটার। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মুহসিন বলেন, শুনেছি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে আরও দুই বছর আগে তবে কাজ বন্ধ রয়েছে। কচ্ছপের গতিতে চলছে নির্মাণ কাজ। প্রায় এক বছর হতে চলল এখনও কাজ শেষ হয়নি। মাত্র কয়েকটি পিলার আর সয়েল টেষ্ট নিয়ে চলছে সেতুর কাজ। এখন পিলার গুলোর উপওে থাকা রডগুলো মরিচিকা পড়ে নষ্ট হচ্ছে । এত করে সেতু নির্মাণ করা হলেও এসব পিলার গুলো দুর্বল হয়ে পড়বে। এখন শুনছি আরও অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা কবে আমরা ভৈরব সেতু উপর দিয়ে চলাচল করব। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জোর দাবি জানাচ্ছি দ্রুত যেন এই সেতুর কাজ শুরু করা হয়। এ বিষযে খুলনা (সওজের) নির্বাহী প্রকৌশলী চলতি দায়িত্ব মোঃ আশরাফুর রহমান বলেন, ভৈরব সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর পর রেলওয়ের সাথে কিছু জটিলতা ছিল। এখন সেই জটিলতা নেই। পাশাপাশি আমরা এই সেতুটি নির্মাণের জন্য আগের নকশা পরিবর্তন করেছি। যে কারণে নির্মাণ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। সেতু নির্মাণের ব্যায় এখনও বাড়ানো হয়নি। এই মাসে আবারও শুরু করা হবে। আমরা সেইভাবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলেছি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button