স্থানীয় সংবাদ

খানজাহান আলী সরকারি হাই স্কুলের দুই গ্রুপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

# মেয়েলী ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে #
# বহিরাগতদের ইন্ধনে যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা #

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ খানজাহান আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই গ্রুপ শিক্ষার্থীদের দুই দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং মারপিটের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। মেইলী একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩ ও ৪ ডিসেম্বর দুই দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এবং মারিপিটের ঘটনার সূত্রপাত বলে বিদ্যালয়ের সুত্রে জানা গেছে। পূর্বের ঘটরার জের ধরে গতকাল ৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে অংশ নিয়ে কিছু সময় পরেই পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে বিদ্যালয়ের বাহিরে গিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে উভয় পক্ষ সরে পড়ে। দুই গ্রুপের ধাওয়া ও হামলার ঘটনা বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তাদের দাবি বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী বহিরাগত কিছু উঠতি বয়েসি যুবকদের নিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ”খ” শাখার এক ছাত্রী এবং নবম ”খ” শাখার এক ছাত্রের মেইলি একটি ঘটনার সূত্র ধরে বেশ কিছুদিন বিদ্যালয়ের এই দুই শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যার বহিঃপ্রকাশ গত ৩ ও ৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল ৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনির “খ” শাখার ওই ছাত্রী পরীক্ষা শুরুর কিছু সময় পর হল থেকে বেরিয়ে যায়। তার পরপরই পরীক্ষার হল রুম থেকে বেরিয়ে যায় ৯ম “খ” এবং ১০ম “খ” শাখার বেশ কিছু শিক্ষার্থী। উভয় পক্ষই বাহিরে অবস্থান নিলে বিষয়টি জানতে পারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি যে কোন পরিস্থিতি এড়াতে খানজাহান আলী থানা পুলিশকে খবর দেয়। এরই মধ্যে বিদ্যালয়ের পিছনের সড়কের উপরে দুই গ্রুপ ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং মারধরের ঘটনা ঘটে । পরের ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে দুই পক্ষই সরে পড়ে।
বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক এবং শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, দেশের সুনামধন্য বিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধার মূল্যালয় পরীক্ষার মাধ্যমে না করে লটারির মাধ্যমে করায় কিছু বকে যাওয়া বা বিপদগামী শিক্ষার্থী এ সকল বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যায় আর তারাই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিদ্যায়ের সুনাম নস্ট করে। তাছাড়া এদেরই একটি অংশ বহিরাগত বখাটেদের নিয়ে এ ধরনের ঘটনার জন্ম দেয়। যার ফলে তাদের কারণে স্কুলের সুনাম যেমন নষ্ট হচ্ছে একই সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিগ্ন ঘটাচ্ছে। তাদের দাবি এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে লটারি প্রথা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ দেওয়া এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে গত দুইদিন যাবৎ উত্তেজনার দেখা দেয়। তিনি বলেন কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষার হল থেকে আগে বেরিয়ে গিয়ে একটি অনাকাংখিত ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িতদের অভিভাবকদেরকে স্কুলে ডাকা হবে। এদিকে, বিদ্যালয়ের মেইলী ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়টির আশপাশে বহিরাগতদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের মহড়া দিতে দেখা গেছে। যে কোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এবিষয়ে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা মারামারির জড়িয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আমাকে অবহিত করলে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এই ঘটনায় বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button