খালিশপুরে বিএনপি যেন পারিবারিক দল হতে চলেছে

# একই পরিাবরের আটজন সদস্য ঃ পতিত সরকারের সহযোগিরা কমিটিতে #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খালিশপুরে বিএনপি যেন পারিবারিক দল হয়ে পড়ছে। বিষয়টি জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসেছে মহানগর বিএনপি। এখন বিষয়টি দেখছেন খালিশপুর থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির নিকট দু’টি অভিযোগ দাখিল করেছে। ওই অভিযোগে বলা হয়, একই পরিবারের ৮ জনকে সদস্য করা হয়েছে। অপর পরিাবরের ৪ জনকে সদস্য করা হয়েছে। আবার বিগত দিনে যারা যুবলীগ আ’লীগের মিছিল মিটিং করেছে এবং কখনও বিএনপির রাজনৈতিক কোন প্রোগ্রামে ছিলো না তাদেরকেও সদস্য করা হয়েছে। ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির গত ৫ ডিসেম্বর মহানগর বিএনপির নিকট এ সংক্রান্ত অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগে বলা হয়, “৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হতে যাচ্ছে। আমি জানতে পেরেছি উল্লেখিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে এমন কিছু লোক অর্ন্তভূক্ত হয়েছে যারা বিএনপি’র কর্মী সমর্থক অতীতেও ছিল না। কিন্তু বিগত স্বৈরশাসকের আমলে তারা স্বৈরশাসকের নেতা কর্মীদের সাথে চলাফেরাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়েছে এবং সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে। এখানে উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেন এর আত্মীয় হওয়ায় একই পরিবারের ৮ জন সদস্য ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। আমি ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে উক্ত কাজে বাধা প্রদান করলে তারা আমাকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। দুঃখজনক বিষয় হলেও এটা সত্য যে, এদের কারনে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র ভাবমূর্তি প্রচন্ডভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। এব্যাপারে আপনাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং তারা সফল হলে এই ১৭ বছরের স্বৈরশাসকের নির্যাতিত, নিষ্পেসিত, অত্যাচারিত কর্মীদের অবমূল্যায়ণ করা হবে।” গত ৫ ডিসেম্বর একই রকম অভিযোগ করেন ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ হাই কালু। অভিযোগে বলা হয়, “১০নং ওয়ার্ড বিএনপির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হতে যাচ্ছে। উল্লেখিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে এমন কিছু লোক অর্ন্তভূক্ত হয়েছে যারা বিএনপির কর্মী সমর্থক। কিন্তু বিগত স্বৈরশাসকের আমলে তারা স্বৈরশাসকের নেতা কর্মীদের সাথে চলাফেরাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়েছে এবং সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে। কিন্তু স্বৈরশাসকের আমলে বিএনপির কোন কর্মকান্ডের সাথে (মিছিল, মিটিং ও অন্যান্য কর্মকান্ড) কোন ভাবেই যোগসূত্র ছিলনা, এবং তাদেরকে আহবান করলে তারা বিভিন্ন ছলে-বলে, কলে-কৌশলে এড়িয়ে যায়। স্বৈরশাসকের পতনের পরে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সময় সেই সমস্ত মুখ (যারা ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে তাদের সাথে জড়িত ছিল) সক্রিয় হয়ে উক্ত ওয়ার্ড কমিটিতে প্রবেশ করেছে। ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হায়ে উক্ত কাজে বাঁধা প্রদান করলে তারা আমাকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। দুঃখজনক বিষয় হলেও এটা সত্য এদের কারণে ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভাবমূর্তি প্রচন্ডভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং তারা সফল হলে এই ১৭ বছরের স্বৈরশাসকের নির্যাতিত, নিষ্পেতিত, অত্যাচারিত মানুষগুলো খুবই কষ্ট পাবে।” এমনই অভিযোগ শোনার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাঠ পর্যায়ের বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নগর বিএনপির নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ত্যাগী নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে খালিশপুর থানা বিএনপির সদস্য যাচাই বাচাই কমিটির সদস্য আবুল কালাম জিয়া বলেন, সবাইকে চেনা যায় না। প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি আর সাঃ সম্পাদক মিলে নাম দিয়েছে। সেখানে তারা ভূল করলে যাচাই বাচাই কমিটির কিছু করার থাকে না। তবে যাচাই বাচাই শেষে কমিটি থানা বিএনপির নেতাদের নিকট দেয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে বলে তিনি জানান। তবে খালিশপুর থানা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী জাহিদ হোসেন ও যাচাই কমিটির সদস্য শেখ সাদীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা মোবাইল রিসিভ করেননি। মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, এমন অভিযোগ তিনি পাননি। এ ব্যাপারে তিনি দপ্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে দপ্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে প্রশ্নের কোন জবাব দেননি।