মান্দারবাড়ির অভয়ারণ্যে চলছে রমরমা মাছ ধরার ব্যবসা

# টাকা দিলেই অভায়ারণ্য মাছ ধরার বৈধতা পায়
# ৮ জনসহ ট্রলার আটক
আনিছুর রহমান কবির ঃ সাতক্ষীরার মান্দারবাড়ি থেকে অভয়ারণ্যে মাছ ধরার অপরাধে ৮ জেলেসহ ট্রলার আটক। তবে জেলেদের অভিযোগ প্রতি গোণে অভয়ারণ্যের ওসিকে টাকা দিলে অভয়ারণ্যে মাছ ধরার বৈধতা মেলে। অন্যথায় নানা জরিমানা ও মামলার শিকার হতে হয়। অথচ মান্দারবাড়ি সম্পূর্ণটাই অভয়ারণ্য হওয়া সত্ত্বেও সেখানে মাছ ধরছেন কামরুল বিপুল , হোসেনসহ একাধিক কোম্পানি হোসেনের মাছের নৌকা রয়েছে ৮-১০টা , বিপুলের মাছের নৌকার হয়েছে চারটা, কামরুলের মাছের নৌকা রয়েছে ১০ থেকে ১৫টা। মান্দারবাড়ি অভয়ারণ্যে আগে মাছ ধরত এমন এক কোম্পানি মালিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন , ওখানে ওসির থেকে বড় ক্ষমতাধর হচ্ছে মহিউদ্দিন। মহিউদ্দিন আউটসোর্সিং কর্মচারী কিন্তু তার সুনজর থাকলেই অভয়ারণ্যে মাছ ধরা যায়। মহিউদ্দিনের বাড়ি স্থানীয় এলাকায় হওয়ায় তার দাপট অনেক বেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, মান্দারবাড়ি অভয়ারণ্যে বিভিন্ন কোম্পানিগুলো মাছ ধরছে। আমাদের চরপাটা ও খাল পাঠানো নৌকায় প্রতি গোনে নৌকা পতি মান্দার বাড়ির ওসিকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। এরমধ্যে লেনদেনের কোন প্রকার ঝামেলা হলেই ধরিয়ে দেওয়া হয় নৌকা। আবার বিনিময় ছাড়া কোন নৌকা অভয়ারণ্য ঢুকলে সেসকল নৌকাকেও জরিমানা করা হয় দেওয়া হয় মামলা।
অপর এক জেলে বলেন ,আমাদের কাছে থেকে গোন প্রতি ভূষণ ইচ্ছে আবার সুযোগ পেলে মামলা দিচ্ছে তাহলে আমরা অবৈধ কাজ করছি ঠিক আছে তাহলে কেন ঘুষ নিচ্ছেন তাহলে তো আমরা বৈধ হয়েই কাজ করছি। হয় আমাদের সবাইকে বন্ধ করা হোক না হলে সবাইকেই অনুমতি দেয়া হোক মান্দারবাড়ির ওসি মোঃ শমসের আলী এ সকল টাকা নিজের হাতে নেন না , ওসি শমসের কালেকশন ম্যান রয়েছে রাজস্ব বিভাগের হাফিজ ও আউটসোর্সিং মহিউদ্দিন। তবে, এ সকল অভিযোগের বিষয়ে মান্দার বাড়ির ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শমসের আলী বলেন, আজ ৮ জন জেলেসহ আমরা একটি ট্রলার আটক করেছি যাদেরকে মামলা দিয়ে কোর্টে সুপার্দ করা হয়েছে। তবে এ সকল অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন আমি এ সকল বিষয়ে জড়িত নয়। অভয়ারণ্যে কেউ মাছ ধরে না। এবিষয়ে বুড়ি গোয়ালিনীর স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, আমি গত মাসের ২২ তারিখে এখানে যোগদান করেছি। আমি আমি নিয়মিত অভয়ারণ্যগুলোতে টহল দিচ্ছি এ ধরনের কোন কোন সত্যতা আমি পাইনি তবে পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এবিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান বলেন, আজ অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আটজন জেলেসহ একটি নৌকা আটক করি তাদেরকে নিয়মিত মামলা দিয়ে কোর্টে প্রদান করা হয়েছে। তবে অভয়ারণ্যে মাছ ধরার বিষয় তিনি বলেন আমরা প্রমাণ পেলে অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।