স্থানীয় সংবাদ

পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা কারণ তার পালানোর ছাড়া পথ ছিলো না : মান্না

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সম্প্রতি আন্দোলনের সময়ে দুটি মেট্রো স্টেশন ধ্বংস হয়েছিলো। এই মেট্রো স্টেশন পুনরায় নির্মান করতে শেখ হাসিনা বলেছিলো ৩০০ কোটি আবার কেউ বলেছে ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। সেই স্টেশন নির্মান করতে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তার মানে ওনার (শেখ হাসিনার) মতলব ছিল যদি ক্ষমতায় থাকতেন ৩০০ কোটি বা ৪০০ কোটি টাকা বিল করতেন। ৩০ কোটি টাকা খরচ করে বাকি টাকা পাচার করতেন। চোর যদি আপনার দেশ শাসন করে। তাহলে আপনার দেশের উন্নতি হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। কারণ তার পালানোর পথ ছিলো না। তিনি যদি না পালাতেন তাহলে তার হাড্ডি মাংস পাওয়া যেতো না বাংলাদেশে। ভোট ধ্বংস করেছে শেখ হাসিনা। ভোট ধ্বংস করার মধ্যে দিয়ে সে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে। মানুষ ভোট দিতে এসে দেখে ভোট আগেই কাস্ট হয়ে গেছে। মানুষ ভোট দিতে গিয়ে দেখে পুলিশ সেখানে দাড়িয়ে আছে, পুলিশ তাকে ঢুকতে দেয়নি। দিনের ভোট আগের রাতে হয়ে গেছে। এতো বড় গণ অভুন্থানের পরে আমরা কোন চাদা বাজ দেখতে চাই না, আমরা কোন মাস্তানি দেখতে চাই, দখলবাজিত্ব দেখতে চাই না। পরিবর্তনের একটা অন্যতম বিষয় হচ্ছে আমরা একটা ভালো ভোট চাই। ইউনুস সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটা ভালো ভোটের ব্যবস্থা করা। এই পুলিশগুলো কি ভোট দিতে দেয়, এই পুলিশগুলো কোন ঘুষ ছাড়া কাজ করে। এখন পুলিশ কোন ডায়রি করে, ওরা কি তদন্তে যায়। এই পুলিশগুলো বদলাতে হবে। নতুন করে পুলিশ বাহিনী সাজান, নতুন করে আমলাতান্ত্রিক সাজান। সংস্কার এমন জিনিস যে টা আপনাকে সুখ দেবে। মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, এইবার যে লড়াই হলো সেখানে ছাত্র-জনতা বলেছে, তারা নতুন বাংলাদেশ চায়। তারা পুরনো সেই আগের বাংলাদেশ চায় না। বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়নের গান গেয়েছে; এক পদ্মা সেতু করতে ৪০ হাজার কোটি টাকা লাগিয়েছে। অথচ, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভূপেন হাজারিকা সেতু করতে মাত্র ১১৮৬ কোটি ভারতীয় মুদ্রা ব্যয় হয়েছে। আমাদের পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ কিলোমিটার আর ভূপেন হাজারিকা সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। বোঝাই যাচ্ছে কি পরিমাণ দুর্নীতি করেছে শেখ হাসিনার সরকার।
গতকাল শনিবার খুলনা উমেশচন্দ্র লাইব্রেরিতে নাগরিক ঐক্য খুলনায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে খুলনা মহানগর ও জেলা শাখায় নাগরিক ঐক্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে অ্যাডভোকেট মো: জাকির হোসেন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজী মোতাহার রহমান বাবুকে নির্বাচিত করে ৪১ সদস্য নাগরিক ঐক্য খুলনা মহানগর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ হাওলাদার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানকে নির্বাচিত করে ৩৬ সদস্য খুলনা জেলা কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মানবিক, গণতান্ত্রিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য এই শ্লোগান সামনে খুলনায় উমেশচন্দ্র লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত নাগরিক ঐক্য দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নাগরিক ঐক্য সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্য দপ্তর সম্পাদক এস এম মহিদুজ্জামান মহিদ, আলোচক ছিলেন খুলনা জেলা শাখার নাগরিক ঐক্য’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ হাওলাদার। এ সময়ে নাগরিক ঐক্য খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button