যোগ্যতা ছাড়া ইসলামের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তার মোকাবেলা সম্ভব নয় -মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক

# খুলনায় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সদস্য সম্মেলন #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, জামায়াতে ইসলামী জনগণকে এক আদর্শবাদী স্বপ্নের রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখাচ্ছে, যেখানে ছাত্র-জনতার ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের বাস্তবায়ন থাকবে। আমরা এমন এক সমাজ কায়েমের চেষ্টা করছি, যে সমাজে অনিয়ম, দুর্নীতি, সুদ ও ঘুষের অস্তিত্ব থাকবে না। সর্বোপরি সেই সমাজে কোনো অপরাধকে মেনে নেয়া হবে না বরং ন্যায়-ইনসাফই হবে রাষ্ট্রের মূলনীতি।’ তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সদস্যদের জ্ঞান অর্জনে গুরুত্ব দিতে হবে। জ্ঞান ও যোগ্যতায় অগ্রগামী হতে হবে। নিজেদেরকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন লোকেরা আকৃষ্ট হয়। ধনী-গরীব সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ইাসলামী আন্দোলনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, যোগ্যতা ছাড়া ইসলামের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তার মোকাবেলা সম্ভব নয়। শনিবার রাতে নগরীর খালিশপুর থানাধীন বৈকালী জানাজা চত্বরে ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আমীর কাজী বায়েজীদের সভাপতিত্ব ও সেক্রেটারি মুহাইমিনুল ইসলাম পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী। বক্তৃতা করেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল, বিএল কলেজের ভিপি এডভোকেট মো. জাকিরুল ইসলাম, নেছারিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আব্দুর রহমান, ভাইস প্রিন্সিপাল ডিএম নুরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আব্দুল আলিম, মাওলানা আব্দুর রহিম, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মো. হোসেন আলী, আশরাফুজ্জামান খোকন, কাজী জিয়াউল ইসলাম, নুর আলম চৌধুরী প্রমুখ। প্রধান অতিথি আরও বলেন, জ্ঞান অর্জন, চরিত্র গঠন, সমাজ বিপ্লবের জন্য ১৯৪১ সালে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা হয়। জামায়াতে ইসলামী অসৎ নেতৃত্ব উৎখাত করে সৎ যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি হচ্ছে মানুষের কল্যাণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করে জান্নাত লাভ করা। তিনি বলেন, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সৎ যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। এই নেতৃত্ব কেবল জামায়াতে ইসলামীতে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীন যে সমাজে জনগণ হবেন চরিত্রবান ও সমাজ হবে ইনসাফপূর্ণ। যে সমাজে সন্তানরা বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করবে, বাবা-মা সন্তানদের প্রতি স্নেহশীল হবেন। শিক্ষক-ছাত্রের মধ্যে গড়ে উঠবে প্রীতি ও ভালোবাসার সম্পর্ক। মূলত, সেই স্বপ্নের সমাজের সকল নাগরিকই হবেন পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা এমন একটি মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠন করতে চাই যে জাতি হবে চারিত্রিক ও নৈতিক গুণাবলি সম্পন্ন।’
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, এদেশের মানুষ অনেক দলের শাসনামল দেখেছে কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর শাসনামল দেখতে পারেনি। মানুষ আজ পাড়া-মহল্লায় আওয়াজ তুলছেন সব দেখা শেষ, আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ। জামায়াতে ইসলামীর যেসকল নেতৃবৃন্দ ইতোপূর্বে এমপি-মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে একজন নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রের সম্পদ লুট বা পাচার করার অভিযোগ নাই। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে বাড়ি নির্মাণে কাউকে চাঁদা দিতে হবে না, ফুটপাতে সবজি বিক্রেতার চাঁদা দেওয়া লাগবে না। ব্যবসায়ীরা নির্বিঘেœ ব্যবসা করবে কেউ এক টাকাও চাঁদা চাইবে না। কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলদার, দুর্নীতিবাজ থাকবে না। সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে জামায়াতে ইসলামী।