স্থানীয় সংবাদ

আসছে শৈত্য প্রবাহ : শীতে যবুথবু জনজীবন

# খুলনায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১২.১২ ডি.সে. #

শেখ ফেরদৌস রহমান : তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে আসছে আরও বেশি মাত্রায় শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল ছিল চলতি বছরের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১২ দশামিক ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সামনে দু একদিনের মধ্যে এর এর প্রভাব আর বাড়বে বলে জানিয়েছে খুলনা আবহাওয়া অফিস। এ দিকে হঠাৎ এমন শীতে থমকে গেছে জনজীবন। বিশেষ করে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের। শীতের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করে উপার্জনের জন্য রিক্সা চালকেরা বের হলেও সকাল বেলায় পড়তে হয়েছে প্রতিকুলতায়। এ বিষয়ে কথা হয় রিক্সা চালক মজনু মিঞার সাথে তিনি বলেন, আগে পায়ে চালিত রিক্সা ছিল প্যাডেল দিলে পরিশ্রম হতো। এখন ব্যাটারি চালিত রিক্সা কায়িক পরিশ্রম নেই বলা চলা যায়। এতে করে শীতের সময়ে রিক্সা চালাতে গেলে শরিরে প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভব হয়। তারপরও উপার্জন করতে হবে। একই কথা বলেন, দিন-মজুর ইয়াসিন তিনি বলেন, গতকাল সকালে কাজে বের হতে দেখা যায় হঠাৎ প্রচন্ড বাতাশ যেন ফাল্গুন মাসের মত ঝড়ো হাওয়া। শরিরে প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভব হয়। যেহেতু গতকাল ছিল বছরের প্রথম শৈত্য প্রবাহ। যেকারণে বেশি সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ সব কিছু উপেক্ষা করে আয় করতে হয়। এছাড়া দেখা যায় বয়স্ক বৃদ্ধরা ও শিশুদের মাঝে শীতের দাপটে যুুবুথবু অবস্থায় দিন কাটাতে। কেউ কেউ আগুন জালিয়ে শীতের প্রকপ কমাতে ব্যস্ত। বৃদ্ধরা শরিরে বেশ কয়েকটি মোটা গরম কাপড় পরিধান করে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে আছেন। অনেকে শীতের প্রভাবে সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে দেখা চায়ের দোকানে চায়ের পাতিল যতই জাল দিচ্ছে কিছুক্ষন গরম আবারও শীতল হচ্ছে চায়ের ক্যাটলি। চায়ে চুমুক দিতে চা আবারও ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া শীতের প্রভাবে নগরীর পোশাক মার্কেটে সহ ফুটপাতে শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরম কাপড় বিক্রি জমে উঠেছে। অনেকে জুতা, হাত মোজা, কানটুপি, হুডিগেঞ্জি সহ শীত নিবারনের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থাই করছে। এদিকে খুলনা আবহাওয়া অফিস বলছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগলœ এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের শ্রীলংকায় উপকুলে অবস্থান করছে এটি ক্রমে আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে।আর এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পযন্ত বিস্ততৃ রয়েছে। উপমহাদেশে উচ্চচাপ বলয় বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্ততৃ হতে পারে। যে কারণে সামনে দু থেকে একদিনের মধ্যে অতি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। আর সেই সাথে কুয়াশা আর তাপমাত্রা কমে আসবে। তবে কয়েকদিন পর আবারও তাপমাত্রা বাড়তে পারে । মোট কথা কিছুদিন তাপমাত্রা কমবে আবার কয়েকদিন এর প্রভাব বাড়বে।যা চলবে ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button