নগরীর খালিশপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ১০জনকে আসামী করে মামলা

স্টাফ রিপোর্টারঃ নগরীর খালিশপুরে যুবক আশফাক আহমেদকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে খালিশপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই অনুকুল। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের অংশ হিসেবে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ওসি রফিকুল ইসলাম জানান। এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো, খালিশপুর নিউ মার্কেট বাজারের বাসিন্দা ইমরান ফয়সাল (২৭), নিপলস ৫ম তালা কলোনী মৃতঃ শওকত রিপন (৩০), শহিদুল ইসলামের ছেলে শরিফুল (২৮), বক্তার বস্তীর বাসিন্দা সবুজের ছেলে সাইদ (৩০) ও সুমন (২৫), বাচ্চুর ছেলে সার্জীর (২৬), পিপলস ৫ম তলা কলোনীর সাদী (২৩), হাউজিং আর লাইনের বাসিন্দা জয় (১৯) ও বিজয় (১৯), পিপলস ৫ম তলার বাসিন্দা মজিবরের ছেলে বাবু (২৫)। আসামীরা সবাই পলাতক তাই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে ওসি জানান। ভিকটিম আশফাক ১৬ ক্ষুদ্র শিল্প টি এন্ড টি এলাকার বাসিন্দা ইসরার আহমেদের ছেলে। গত ৭ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে প্লাটিনাম ২নং গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, “ইমরান ফয়সাল, রিপন, শরিফুল,সাইদ, সুমন, সাব্বীর, সাদী, জয়, বিজয় বাবুরা এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং একাধিক মাদক, অস্ত্র, ডাকাতী মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। বিবাদীদের সাথে আমার কোন ধরনের বিরোধ ও মনোমালিন্য নেই। গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমি আবুলের চায়ের দোকানে বেজে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠ্যাৎ বিবাদীরা হাতে মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, এস. এস পাইপ, লোহাড় রড নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে আবুলের দোকানের সামনে নামে। আমি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ১নং বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডাক করে হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করে। কিন্তু গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় আমি প্রানে বেঁচে যাই এবং প্রান বাঁচাতে দৌড় নেই। বিবাদীরা আমার পিছু পিছু ধাওয়া করলে এক পর্যায়ে আমি হোচট খেয়ে মাটিতে পড়ে যাই। আমি মাটিতে পড়ে গেলে ২নং বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা রাম দা দিয়ে মাথায় কোপ মারলে কপালের ডান পাশে লেগে মারাত্মক হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ৩নং বিবাদী হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। ৪নং ও ৭নং বিবাদী হাতে থাকা মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি চুরে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করতে থাকে। ৫নং বিবাদী হাতে থাকা এস.এস পাইপ দিয়ে আমার ডান পায়ের গোড়ালিতে আঘাত করে মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা জখম করে। ৬নং, ৮নং-১০ নং বিবাদী হাতে থাকা এস.এস পাইপ, লোহাড় রড দিয়ে আমাকে এলোপাথারী আঘাত করতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে ৬নং বিবাদী আমার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন, ৮নং বিবাদী আমার পকেটে থাকা নগদ এক লক্ষ বারো হাজার তিনশত টাকা নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটির আনুমানিক বাজার মূল্য ছত্রিশ হাজার টাকা। আমার আত্মত্মচিৎকারে উপস্থিত সাক্ষীসহ অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মারাত্মক রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আমাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার কপালের ক্ষত স্থানে ৬টি সেলাই, বাম পায়ের হাটুর নিচে ক্ষত স্থানে ৩ টি সেলাইসহ চিকিৎসা প্রদান করেন।