স্থানীয় সংবাদ

বাগেরহাটে বিএনপির সাবেক এমপি সেলিমের বিরুদ্ধে জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের সাবেক এমপি ও ব্যাক্তি স্বার্থে পদত্যাগ করা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ এইচ সেলিমের বিরুদ্ধে দলের ঐক্য নষ্ট করাসহ পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জরুরী ভিত্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও সংবাদ কর্মীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম। এ সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুজ্জামান দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সলাম, জেলা বিএনপি নেতা খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, শেখ শমসের আলী মোহন, পৌর বিএনপির আহবায়ক এসকেন্দার হোসেনসহ সহযোগি সংগঠনের নেতা-কমীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বৈরাচারীর নিষ্ঠুর নির্যাতন আর মিথ্যা মামলায় আটক বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খলেদা জিয়া এবং দেশ থেকে নির্বাসনে থেকেও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের মহান সেনাপতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দেয়া ৩১ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ বিএনপি এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির সাংগঠনিক বিকাশ অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে বাগেরহাটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যখন নিরলসভাবে কাজ করছে। ঠিক সেই মুহুর্তে পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্বাদের ষড়যন্ত্রে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক শক্তিকে দুর্বল করতে এক জঘন্য খেলায় মেতে উঠেছে এমএএইচ সেলিম ও তার সহযোগিরা। বিষয়টি জেলা বিএনপি প্রথমে উদার দৃষ্টিতে দেখলেও বিগত ২৫ ও ২৬ নভেম্বর সেলিম বাগেরহাট এসে নিজের ও ব্যাক্তিগত সুযোগ সুবিধার বিবেচনায় সভা করে বিভিন্ন ভাষায় দলের বিপক্ষে আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। তিনি আবার আগামী ১৭ ডিসেম্বর কচুয়া উপজেলায় সংবধর্না অনুষ্ঠান করছেন। সে উপলক্ষে গত ১২ ডিসেম্বর এক প্রস্তুতি সভায় তার দোসর জনৈক শেখ নজরুল ইসলাম বাগেরহাট জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সমন্বয়ক এমএ সালামকে জড়িয়ে ধৃষ্টতামূলক কিছু বক্তব্য রেখেছেন। যা সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে এবং জেলা বিএনপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এছাড়া ওই সংম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য সেলিম সাহেবের ছবির সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সমন্বয় করে পোষ্টার করেছেন। যা সংগঠনের বিধিবহির্ভুত। এসব বিষয়ে জেলা বিএনপির অবস্থান ও বক্তব্য স্পষ্ট করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় এমএইচ সেলিম, শেখ নজরুল ইসলাম ও ফকির তারিকুল ইসলাম গংরা বিএনপির কোন স্তরের কোন সদস্য নন এবং তাদের সঙ্গে বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই। আওয়ামী স্বৈরাচারের পলাতক দোসর ও সুবিধাবাদী কিছু দলছুট বিএনপি, যারা ৫ আগস্টের পুর্বে দলীয় সকল কর্মকান্ডের সাথে সম্পর্কহীন ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে ব্যবসা বাণিজ্য করেছেন এবং সুন্দর জীবন যাপন করেছেন। তারা এখন বিএনপিকে বিভক্ত ও দুর্বল করতে ষড়যন্ত্র করছেন। বাগেরহাট জেলা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসরদের ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তারাই জনগনকে বিভ্রান্ত করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া ৩১ দফা কর্মসূচী সঠিকভাবে বাস্তবায়নে দলের ঐক্য অটুট রাখতে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে এমএএইচ সেলিমের ভাই জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, এমএএইচ সেলিম আমার ভাই। এটা আমার পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দলীয়ভাবে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। কচুয়া উপজেলার শেখ নজরুল ইসলাম আমাদের দলের কেহনা। তার ছেলেরা ছাত্রলীগ করে। নজরুল শেখ কচুয়া উপজেলার বাধাল এলাকায় পরের জমি জোর দখলের জন্য আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিল। আমরা তাকে সহযোগিতা করি নাই। তাই এখন এমএএইচ সেলিমের ঘাড়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সকল কে সতর্ক থাকার আহবান জানান এই নেতা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button