স্থানীয় সংবাদ

মহান বিজয় দিবসে কেসিসি প্রশাসকের বাণী

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ও গৌরবদীপ্ত দিন। রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিকামী মানুষ সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ঘটিয়েছিলেন তাঁদের সেই স্বপ্ন পূরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
একই সাথে ২৪’শের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন, সেই প্রচেষ্টা বাস্তবায়নেও আমাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
স্বাধীনতার জন্য যে সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন এবং যে সকল মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ বিজয় অর্জিত হয়েছে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। একই সাথে ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের আত্মার প্রতিও মাগফেরাত কামনা করছি এবং গুরুতর আহত অবস্থায় যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের প্রতি জ্ঞাপন করছি সহমর্মিতা।
পরিশেষে বীর যোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

 

দেশের সকল প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করুন- জাতীয় শিক্ষক ফোরাম খুলনা
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর জেলা সভাপতি মাওঃ শায়খুল ইসলাম বিন হাসান বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রেখে গেছে। আধিপত্যবাদী শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে গোলামের জাতি উপহার দিতে ইতিহাস পাঠের নামে বিকৃত ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। অসংখ্য ছাত্র-জনতার তাজা রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে নতুন করে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও শিক্ষা সেক্টরে এখনো তাদের দোসরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় বিগত সিলেবাস ও পাঠ্যক্রম নতুন করে অনুসরণ না করার ঘোষণা দেওয়া সত্বেও পূর্বের সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি শ্রেণি আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত ধর্মীয় সম্প্রীতির এদেশে আবারও নতুন করে নাচ-গান, চারুকলার নামে মূর্তি সংস্কৃতি চালুর লক্ষে ২০ হাজার পদ সৃষ্টি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মুসলিম শিশুদের নাচ,গানে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অথচ ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের বই থাকলেও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করার জন্য কোন ধর্মীয় শিক্ষক নেই যা সুস্পষ্ট বৈষম্য। আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে বৈষম্য দূর করতে দেশের সকল প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করতে হবে। গতকাল ১৪ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় পাওয়ার হাউস মোড়ে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম খুলনা জেলা ও মহানগর আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন। প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা দেশের সচেতন অভিভাবকদের প্রাণের দাবি। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঠিক ইতিহাস থেকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যেন আগামী প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের মাধ্যমে শিক্ষায় সকল বৈষম্য দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা জেলা ও মহানগরের উদ্যেগে ” প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি,শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলককরণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে” আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, আলহাজ্ব আবু তাহের, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদী, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, সেক্রেটারি মাওলানা এমদাদ উল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মোঃ শরিফুল ইসলাম, এনামুল হাসান সাঈদ, নিজাম উদ্দিন মল্লিক, মোহাম্মদ আবু দাউদ, মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, মুফতি মিজানুর রহমান, মাওলানা জামাল উদ্দিন, আবু রায়হান, আব্দুল্লাহ আল মামুন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থাপন করেন সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি মাওঃ মাহাবুবুল আলম।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button