১৭ বছর ধরে কারাগারে খুলনার মুরাদ হোসেন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ১৭ বছর ধরে কারাগারে রয়েছে খুলনার মুরাদ হোসেন। ২০০৭ সালে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তিনটি মিথ্যা মামলায় দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে মুরাদ হোসেনের পরিবার। যার মধ্যে দুটি মামলায় আদালত থেকে খালাস পেয়েছে মুরাদ। কিন্তু ঝালকাঠির আদালতের পিপি এডভোকেট হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় সাঁজা হয়ে ১৭ বছর ধরে কারাগারে আছে সে। মুরাদের পরিবারের দাবী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত সরকারের দোসরদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে মুরাদ। সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করেন মুরাদ হোসেন এর ছোট ভাই মোঃ নয়ন। লিখিত বক্তব্যে সে বলে, ২০০৭ সালে খুলনার জোড়াকল বাজার এলাকার মৃত মোশাররফ হোসেন এর সেজ ছেলে মুরাদ হোসেনকে বাড়ী থেকে তুলে নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সে সময় মুরাদ হোসেন সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। সে সময় পুলিশ প্রথমে তাকে দুটি মিথ্যা মামলা দেয়। যে মামলায় আদালতে খালাস পেয়েছে মুরাদ হোসেন। একই সময়ে মুরাদকে ঝালকাঠির আদালতের পিপি এডভোকেট হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সে সময় মুরাদ হোসেনকে কোন প্রকার আইনি সহায়তা দেওয়া হয়নি। তার পিতা মোশাররফ হোসেন খুলনার স্কুল হেলথ ক্লিনিকের এম এল এস এর চাকরি করতেন। সে সময় তাকে চাপ দিয়ে, চাকরির ভয় দেখিয়ে মুরাদকে ত্যাজ্যে পুত্র ঘোষণা করানো হয়। ২০১৯ সালে মোশাররফ হোসেন ইন্তেকাল করেন। এছাড়াও মুরাদ হোসেনকে মামলায় তার বয়স ২০ বছর দেখায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু সে সময় এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এইভাবে মিথ্যা অভিযোগে ও কোন প্রকার আইনিসহায়তা ছারা প্রহসনের মাধ্যমে আমার ভাইসহ পাঁচ আসামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। যার মধ্যে দুই আসামী পলাতক রয়েছে। বলেন মুরাদ হোসেন এর ছোট ভাই মোঃ নয়ন।
তিনি দাবী করেন, তার মুরাদ হোসেন এর মামলার রায় পূর্নবিবেচনা করে নির্দোষ মুরাদ হোসেনের মুক্তি। তিনি আরো বলেন, মুরাদ হোসেন ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। সে সেন্ট জোসেফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল কমিটি ও সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ শাখা ছাত্র শিবিরের বাইতুল মাল সম্পাদক ছিলেন। এ কারনে তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। একই সাথে তাদের পারিবারিক সম্পত্তি নিদে দ্বন্দের জের রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।