খুমেক হাসপাতালে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা শ্লোগান’

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে গেটে ও হাসপাতালের বিভিন্ন ব্লিডিং দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান লেখা দেখে গেছে। হাসপাতালে নিরাপত্তা প্রহরীরা নিয়োজিত থাকা সত্বেও কিভাবে এই শ্লোগান লিখে গেছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ঢুকতেই চোখে পড়ে এই লেখাগুলো। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলছেন, রাতের আধারে কে বা কারা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া ওই সময় নিরাপত্তা কর্মীরা কোথায় ছিলেন তারও খোজ নেওয়া হচ্ছে।
খুমেক হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্য আলী কদর বলেন, আমি ভোর ৬টায় আমার ডিউটি শুরু হয়। আমি মাল্টিপারপার্স ব্লিডিংয়ের বাইরের লাইট বন্ধ করার সময় দেখি দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লেখা। তিনি বলেন, এর আগে সোমবার রাত ১০টার থেকে ভোর পর্যন্ত এখানে ডিউটিরত ছিলেন তোফাজ্জেল হোসেন। আমি লেখা দেখার পর পরই আমাদের ক্যাম্প ইনচার্জ (পিসিআর) মো: মাহবুব স্যারকে অবহিত করি।
খুমেক হাসপাতালের ক্যাম্প ইনচার্জ (পিসিআর) মো: মাহবুব রহমান বলেন, খুমেক হাসপাতালের জন্য তিনিসহ মোট ৩২ জন আনসার সদস্য আছেন। বর্তমানে ৬জন ছুটি আছেন। মাত্র ২৬ জন আনসার সদস্য দিয়ে পুরো হাসপাতালে পর্যায় ক্রমে আনসার সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। সোমবার রাতে আনসার সদস্য তোফাজ্জেল হোসেন মাল্টিপারপাস ব্লিডিংয়ে ডিউটিতে ছিলেন। তবে কে বা কারা এই কাজগুলো করছে তা আনসার সদস্যরা বলতে পারছেন না। কারণ ওই আনসার সদস্য রাতে দরজা বন্ধ করে ভেতরে ছিলেন। তিনি বলেন, এই অল্প সংখ্যাক আনসার সদস্যদের দিয়ে পুরো হাসপাতালে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হয়। কারণ অল্প সংখ্যক আনসারদের মধ্যে অনেকেই আবার পর্যায় ক্রমে ছুটিতে থাকেন।
খুমেক হাসপাতালের সামনে বাসা মো: হায়দার আলী বলেন, প্রতিদিন সকালে ভোরে আমি নামাজ পড়ে হাসপাতালের বাউন্ডারের মধ্যে হাটাচলা করি। আজ দেখি হাসপাতালে েেগট ও বিভিন্ন দেয়ালে জয় বাংলা শ্লোগান রং দিয়ে কে বা কারা লিখে গেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরা এখন হাসপাতালে সক্রিয় রয়েছে। তারা এই শ্লোগান দিয়ে জানানা দিচ্ছে তারা খুব শিগগিরই আবারও মাথাচড়া দিয়ে উঠবে। খুমেক হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা: মহাসিন আলী ফরাজী বলেন, আমি হাসপাতালে এসে বিষয়টি জানার পরই ওই সব লেখা মুছে ফেলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। গভীর রাতে কে বা কারা করেছে তা কিছুই জানা যায়নি। আমরা হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদেরকে তাদের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছি।