খুমেক হাসপাতালের বড় বাবুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বড় বাবু মাহাবুবুর রহমানের অনিয়ম আর থামছেনা। নানা অজুহাতে সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। এমনকি বিষয়টি নিয়ে এর আগে গেল ১৭ সেপটেম্বর ভুক্তভোগী বেসরকারী ইন্টার্নি নার্সিং প্রতিষ্ঠান মমতা নার্সিং কলেজ, এশিয়ান নার্সিং কলেজ নিউসিটি নার্সিং কলেজ সিএস,এস নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রে নার্সিং সুপারেন্ট রোকেয়া ও বড় বাবু মাহাবুবুর রহমানের ঘুষ চাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা খুমেক হাসপাতালের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও নিয়মিত পরিচালক না থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানে গেল প্রায় ৩৬ বছর যাবৎ চাকুরী করছেন তিনি এর মধ্যে এক যুগ আগে অনিয়মের অভিযোগে তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করলেও কয়েক মাস পর আবারও খুমেক হাসপাতালে যোগদান করেন। এর পর থেকে হয়ে উঠেন আরও বেপরোয়া এমনকি তার মুল পদ হিসাব রক্ষক হলেও কাজ করছেন অফিসের বড় বাবু হিসেবে। নাম না প্রকাশ শর্তে এক কর্মচারী বলেন, এর আগে হাসপাতালে ডরমিটরির ভাড়া খাতায় না উঠিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এমন অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়া হাসপাতালে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তিন বছর পর শ্রান্তি-বিনোদনের ভাতা উঠাতে গেলেও তাকে কমিশন দিতে হয়। সর্বশেষ খুমেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোঃ আতাউর রহমান গেল ৩ ডিসেম্ববর ইন্তেকাল করেন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায়। এ সময়ে তার মৃত্যুর দুই ঘন্টার মধ্যে অর্থের বিনিময়ে অন্য এক দুর্নীতিবাজ কর্মচারী জখমি সার্টিফিকেট বাণিজ্য করেন মোঃ রফিক যার নামে বেশ কয়েকবার জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এমন এক দুর্নীতিবাজকে চলতি ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে চিঠি তৈরি করতে দৌড়ঝাপ শুরু করে। এমনকি পরিচালককে ম্যানেজ করে দায়িত্ব সে তার নিজের পছন্দের ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব দেন। অনেকে হাসপাতাল কর্মচারীরা তার শোক চিঠি সহ নানা ব্যস্ততা থাকলেও বড় বাবুর এহেন চরিতার্থে সকলকে ভাবিয়ে তোলেন। এ বিষয়ে খুমেক হাসপাতালের বড় বাবু মাহাবুবুর রহমানের সাথে কথা বলতেই তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সত্য না। এছাড়া নার্সিং শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করছে এটা সঠিক না। আমি তখন ছুটিতে ছিলাম। এ বিষয়ে খুমেক হাসপাতালের তত্ববাধায়ক ডাঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, নার্সিং শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। তবে তৎকালিন পরিচালক স্যার বিষয়টি মিমাংসা করেছিল। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ খুলনা পরিচালক ডাঃ মনঞ্জুরুল মুরশিদ বলেন, খুমেক হাসপাতালে নিয়মিত পরিচালকের দায়িত্ব না থাকায় বেশ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমি বিষয়টি জানিনা এমন অনিয়ম পেলে অবশ্যই আমি বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নিব।