আহম্মাদিয়া মাদ্রাসার কমিটিতে ফ্যাসিবাদি চক্র প্রবেশের জোরালো চেষ্টার অভিযোগ

# প্রতিষ্ঠাতা পরিবর্তনের অপচেষ্টাও করা হচ্ছে
# ফ্যাসিবাদি ও দূর্নীতিগ্রস্থ কমিটিকে বহাল রাখতে মাদ্রাসা সুপারের প্রচেষ্টা #
স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর চানমারী বাজার সংলগ্ন আহম্মাদিয়া মাদ্রাসার কমিটিতে ফ্যাসিবাদি চক্রের প্রবেশের জোরালো চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পুরাতন কমিটির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে আর সেই কমিটিকেই আবারও দুর্নীতি করার জন্য সহযোগীতা করছে মাদ্রাসা সুপার খলিল। এমনকি ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিবর্তনের অপচেষ্টাও করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার বড় ছেলে মোঃ রুহুল আমীনকে জীবন নাশের হুমকী দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদি ও দুর্নিতিগ্রস্থ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম গত ৫ই আগষ্টের পর থেকেই পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, আহম্মাদিয়া মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানার প্রতিষ্ঠাতার নাম পরিবর্তন করে ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা বানানোর ‘অপচেষ্টা চলছে। এঘটনায় প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা আবু সালেহ’র ছেলে মো: রুহুল আমিন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক, কেএমপি কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগে বলা হয়, তার পিতা মাওলানা আবু সালেহ’র জীবদ্দশায় ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্নভাবে তাকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এমনকি জনৈক সাধারণ সম্পাদক ফান্ড থেকে ৮০ হাজার টাকা লোন নেন। পরে তা শোধ না করায় প্রতিষ্ঠাতার সাথে বিতর্ক হয়। পরে তাকে কার্যকরী কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়। দীর্ঘদিন পর কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন সাবেক সাধারণ সম্পাদকেরই ছেলে। আর সেই থেকেই পূর্বের ঘটনার জের ধরে মাওলানা আবু সালেহ’র পরিবারের ওপর অসম্মান করার অপচেষ্টা চলছে। মাদ্রাসা সৃষ্টির পর থেকে সকল কমিটির রেজুলেশন করে আবু সালেহকে প্রতিষ্ঠাতা এবং তার সমাধি মসজিদের পাশে হবে উল্লেখ থাকে। কিন্তু মাদ্রাসার একজন কর্মচারী ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আতাঁত করে রেজুলেশনগুলো সরিয়ে ফেলেন। ২০১৩ সালে আবু সালেহ’র ইন্তেকালের পর যে রেজুলেশন হয়েছিল তা বাতিল করে নয়া সাধারণ সম্পাদক নতুন রেজুলেশন করে ৭/৮জনকে প্রতিষ্ঠাতা বানিয়ে হঠাৎ করে মাদ্রাসার দেয়ালে রাতের আধারে একটি নাম ফলক লাগান। যেখানে মরহুম মাওলানা আবু সালেহকে অসম্মান করা হয়। এছাড়া তার সমাধির নামফলক ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ ব্যাপারে কেএমপির খুলনা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়। লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিমের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মদ্রাসার সার্বিক পরিস্থিতি দুর্নীতিগ্রস্থ ও হুমকির মুখে পড়েছে।