মণিরামপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু : আহত অর্ধশত

মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ মণিরামপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ সব ঘটনায় প্রায় অর্ধশত শিশুসহ নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। হতাহাতের অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। অদক্ষ চালকের সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলই দুর্ঘটনায় হতাহতের অন্যতম কারণ হিসেবে দুষছেন অনেকেই। সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোরতা প্রদর্শনের কোন বিকল্প নেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর উপজেলার সরনপুরে (মণিরামপুর-ঝিকরগাছা সড়কে) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় উপজেলার হালসা গ্রামের ছবেদ আলী সরদারের ছেলে আফজাল হোসেন (৩৫), ১৫ ডিসেস্বর রাজারহাট-চুকনগর মহাসড়কের মণিরামপুরের চালকিডাঙ্গা এলাকায় দুই মোটরসাইকেল মুখোমুখী সংঘর্ষে উপজেলার হুরেরগাতী গ্রামের আহাদ আলী মোড়লের ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া আসাবুর রহমান (১৫) ও সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৫৫), গত ৯ ডিসেম্বর রাজগঞ্জ এলাকায় ট্রাক চাপায় উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের কোমর আলী শেখের ছেলে শেখ আব্দুল লতিফ (৫৫), গত ২১ নভেম্বর রাজারহাট-চুকনগর মহাসড়কে উপজেলার বিজয়রামপুর খৈতলা মোড়ে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমূখী সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী কলেজ ছাত্রী খানপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে ফারজানা ইয়াসমিন রিমি (২০) এবং একই গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মারুফ হোসেন (১৮) ঘটনাস্থলে নিহত হন, গত ১০ ডিসেম্বর একই ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থানে একই মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় উপজেলার মধুপুর গ্রামের আবু মুছার স্ত্রী রিক্তা পারভীন (২৫) নিহত হন এবং তার তিন বছরের মেয়ে নুসরাত ও স্বামী আহত হন, গত ১ ডিসেম্বর ভাংড়ি ব্যবসায়ী সামছুর রহমান (৫৫) মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায় । এছাড়া নভেম্বরে ট্রলি চাপায় কোদলাপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ৭ বছরের ছেলে আরাফাত হোসেন নিহত হয় এর কয়েকদিন আগে উপজেলার দাসেরহাট বাজারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় খাকুন্দি গ্রামের হরিপদ শীল (৬৫) নামে এক সেলুন মালিক নিহত হন। এসব সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। ফলে সড়কে হতাহতের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ সাধারন মানুষ। তাই সড়কে প্রাণহানি রোধে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি উঠেছে। উপজেলার ঘুঘুরাইল গ্রামের অভিভাবক আল মামুন ও তরিকুল ইসলাম বলেন, সড়কে যে হারে দুর্ঘটনা বেড়েছে; তাতে সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত চিন্তায় থাকতে হয়। এ ব্যাপারে নিরাপদ সড়ক চাই(নিসচা) মণিরামপুর উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব এস.এম হাফিজুর রহমান রহমান সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সড়ক আইনের প্রয়োগে কঠোরতা জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে সড়ক আইন মেনে চলার জন্য সচেতন হতে হবে। আর উঠতি বয়সী কিশোরদের মোটরবাইক চালাতে নিরুৎসাহি করতে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল হতে হবে।